প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে ৫০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে দেশের সব কার্যক্রম চলমান রেখে ৫০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব বলে মনে করে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি এমনটাই দাবি করে আরো বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং না করেও সরকারি বেসরকারি সকল কার্যক্রম সচল রেখে এবং মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রেখে বর্তমান ব্যবহৃত জ্বালানির ৫০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। যদি উন্নত দ্রুতগামী সকলের সাধ্যের মধ্যে ডিভাইস ইন্টারনেট ও সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা নিশ্চিত এর পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও জ্বালানি সংকটের জোরে আমাদের বাংলাদেশেও কাঁপছে। ইতিমধ্যে সরকার গত মাসে দোকানপাট শপিংমল রাত আটটার মধ্যে বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি এক ঘন্টার লোডশেডিং এর ঘোষণা প্রদান করে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা।

তাতেও যখন হচ্ছে না তখন গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী বুধবার থেকে অর্থাৎ আগামীকাল থেকে সরকারি অফিস আদালত সকাল আটটা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত চলবে। স্কুল কলেজ সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম সকাল ৯ টা থেকে বেলা চারটা পর্যন্ত চলবে। এ সকল পরিকল্পনায় সত্যিই কি জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব না কি সরকারি সেবায় নাগরিক ভোগান্তি আরও বাড়বে? আমাদের পরামর্শ হচ্ছে যদি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সকলের জন্য নিশ্চিত করা যায় পাশাপাশি স্বল্প মূল্যে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করা সম্ভব হয় সেই সাথে সেবার মূল্য হাতের নাগালে রাখা যায় তাহলে ঘরে বসেই বা হোম অফিসের মাধ্যমে নির্ধারিত সময় চাইতে বেশি সময় পরিশ্রম করে দ্রুতগতিতে সকল সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কাজে আরো উন্নয়ন করা সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন সকলকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা ও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবহারে সক্ষম করে তোলা।

ব্যাংকিং লেনদেনে আমরা যেখানে ঘরে বসে এম এফ এস এর মাধ্যমে করতে পারি সেখানে উচ্চমূল্যের সার্ভিস চার্জ, লেনদেনের সীমা নির্ধারিত থাকা, আন্ত ব্যাংক লেনদেনে জটিলতা, এজেন্ট ব্যাংক সম্পর্কে মানুষের স্বচ্ছ ধারণা না থাকা এবং অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ থাকায় কোটি কোটি গ্রাহককে প্রতিদিনই বাণিজ্যিক শাখা গুলিতে দৌড়াতে হয়। এক্ষেত্রে যদি সমস্যা গুলি উত্তোলন করা সম্ভব হয় সেই সাথে মোবাইল ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় তাহলে এখানে যাতা য়াতকারী প্রায় গ্রাহকদের মধ্যে এক কোটি গ্রাহকে ঘরে বসে লেনদেন করানো যেতে পারে। এর মাধ্যমে এ সেবা থেকেও ৫০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ও চাহিদা মেটাতে বাজারে নাগরিকদের যেতেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হতে পারতো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

কিন্তু ই কমার্সের প্রতারণার যে ভয়ংকর চিত্র ইতিমধ্যে দেশবাসী দেখেছে তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ই-কমার্সের গ্রাহকদের মধ্যে। তবে এখনো যদি ই-কমার্স এর নিরাপত্তা, ন্যায্য মূল্যে বা সঠিক মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই সাথে সার্ভিস চার্জ ফ্রি করা যায় তাহলে পাঁচ থেকে সাত কোটি পরিবারের দৈনিক বাজার কেনাকাটায় যাতা থেকেও প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব।

সব মিলিয়ে সড়কে কমবে পরিবহন যাতায়াত আর এতে করে পরিবহন সেক্টরের বর্তমান জ্বালানি ব্যয় থেকেও সাশ্রয় করা সম্ভব ৫০ শতাংশ জ্বালানি। আমরা চাই উন্নত প্রযুক্তি যা হবে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন