উন্নয়ন-মুনাফা যেন প্রকৃতির ক্ষতি না করে: ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক

উন্নয়ন-মুনাফা

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বর্তমানে উন্নয়ন-মুনাফা যেন প্রকৃতির ক্ষতি না করে সেই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান।

রোববার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্টুডিও, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেন্ডার রেস্পন্সিভ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্র্যাকটিস (জিআরআরআইপিপি), সাউথ এশিয়ার যৌথ আয়োজনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. দিলারা জাহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আমাদের পরিবেশের ও বাস্তুসংস্থানের স্বাভাবিকতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে যুক্ত, তারা তাদের কার্যধারা ও চর্চার মাধ্যমে পরিবেশ ও জলবায়ুকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া উচিত।আলোচক সোহানুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে মানুষকে সংরক্ষণ করার। আমরা থাকতে পারবো কিনা, না আমরা গণ বিলুপ্ত হবো, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতি বিনষ্ট করা যাবে না। উন্নয়ন থাকবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মুনাফা থাকবে। সেই উন্নয়ন-মুনাফা যেন প্রকৃতির ক্ষতি না করে। উন্নয়ন ও বাণিজ্য দায়িত্বশীল হতে হবে। একইভাবে প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান তিনি। সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকলির সমন্বয়ক শাখাওয়াত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদ রেজোয়ানা। এসময় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসে পরিবেশ সুরক্ষার দিকে নজর দিকে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা। বক্তারা ব্যক্তি হিসেবে পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় নিজের ভূমিকা নির্ধারণ করার উপরও জোর দেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন আর স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে একটাই পৃথিবী’।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন