উদ্যোক্তাদের দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে- পলক

টেকভিশন২৪ প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ই-কমার্স ও ট্রাফিকসহ বিভিন্ন সমস্যা উদ্যোক্তাদের দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধানে কাজ করতে হবে। এজন্য সরকার সব ধরনের সহয়তা করবে।

তিনি বলেন সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করে আমরা বিশ্বে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের মডেল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছি। তিনি বলেন ১২ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার সজীব ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসহ সবকিছুরই মূল অবকাঠামো তৈরি সম্ভব হয়েছে।

আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গ্রামীণফোন এক্সিলারেটর 3.0 এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রামীনফোন এক্সিলারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, বেটার স্টোরিস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজ আনোয়ার, গ্রামীনফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খাইরুল বাশার, গ্রামীনফোনের হেড অব ইনোভেশন অ্যান্ড স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম-এর ফারহানা ইসলাম।

প্রতিমন্ত্রী গত ৭-৮ বছরে দেশে প্রায় ৩ হাজার স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন জাপান, ইউএসএ এর সিলিকনভ্যালি, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। বাংলাদেশের গেইম ডেভেলপাররা নিজেরা গেইম ডেভেলপ করার পাশাপাশি আউটসোর্সিং করে আয় করছে। গেমিং সেক্টরেও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট আসছে।

আমাদেরকে স্টার্টআপ কালচার তৈরির পাশাপাশি সেলফ রিলায়েন্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। পলক বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে একশত স্টার্টআপকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে এবং অনুদান হিসেবে এক লক্ষ ডলার সর্বোচ্চ অনুদান হিসেবে থাকছে। তিনি আরো বলেন সরকার ৫০ স্টার্টআপকে এক শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে ৫কোটি টাকা পর্যন্ত প্রতি রাউন্ডে ইকুইটি ইনভেস্ট করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।

পরে প্রতিমন্ত্রী গ্রামীণফোন এক্সিলারেটর 3.0 এর আনুষ্ঠানিভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন