শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে খুলছে কম্পিউটার মার্কেট

টেকভিশন২৪ প্রতিবেদক: আজ থেকে দেশের প্রধান দুটি মার্কেটসহ সারাদেশের কম্পিউটার মার্কেটগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহক সেবা প্রদান শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দীর্ঘ ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে বন্ধ থাকার পর এই সেবাখাতটি আবারও কর্মচঞ্চল হচ্ছে। মার্কেটগুলোতে ঢুকতে সকল সেবা প্রদানকারী এবং ক্রেতাদের মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও বড় মার্কেটগুলোতে ইনফারেড থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও হ‍্যান্ড সেনিটাইজার ব‍্যবহারের ব‍্যবস্হা রাখা হয়েছে। মার্কেটগুলো খোলার আগ মুহূর্তে নিজেদের কর্তব্য এবং সচেতনতা নিয়ে এই খাতের কয়েকজন উদ্যোগতা ও পরিচালকের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।
 
এবিষয়ে টেকভিশন২৪ প্রতিবেদককে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড এর পরিচালক (বিপনন) জাফর আহমেদ ও আরেক পরিচালক (চ্যানেল সেলস) মুজাহিদ আলবেরুনী সুজন বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধির শতভাগ নির্দেশনা মেনে ১৫ই জুলাই থেকে সরকারের নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষিতে আমাদের হেড অফিসসহ সকল শাখা অফিসগুলো খোলা রাখার সিদ্বান্ত নিয়েছি।
 
এছাড়া গ্লোবাল ব্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: শফিকুল আলম সোহান, ইউসিসির হেড অব বিজনেস জয়নুস সালেকিন ফাহাদ বলেন, সারাদেশে আমাদের সকল শাখা অফিস করোণাকালীন সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলা রাখছি।  
 
ডেফোডিল কম্পিউটার্স লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার জাফর আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে আগামী ১৬ তারিখ শুক্রবার আমাদের সকল ব্রাঞ্চ এবং কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট গুলো খোলা রাখবো। লকডাউন কালিন কাস্টমারদের পেন্ডিং সেবাগুলো এ সময় আমরা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করবো। 
 
কম্পিউটার মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে মাইক্রোসান সিস্টেম এর স্বত্বাধিকারী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং ন্যানোটেক বিডি লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী আকতারুজ্জামান টিটো বলেন, ১৫ তারিখে থেকে এ্যালিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার মার্কেট ও দোকান খোলা থাকবে। 
 
৩০ জুন সর্বশেষ দেশের কম্পিউটার মার্কেটে লেনদেন হয়। প্রায় ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবারও ঢাকার প্রদান দুই মার্কেট বিসিএস কম্পিউটার সিটি ও এ্যালিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার মার্কেটসহ দেশের ছোট বড় সকল আইটি মার্কেট সকল স্ব্যাস্থবিধি মেনে গ্রাহক সেবা চালু করেছে।
 
উল্লেখ্য, কম্পিউটার ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা করোনাকালীন লকডাউনে এই খাতকে জরুরী পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে নানান অনুরোধ জানালেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই।
 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন