অনিয়ন্ত্রিত মার্কিন ডলার মার্কেট, গভীর সংকটে আমদানী নির্ভর ব্যবসায়ীরা : আল-আমিন

মার্কিন ডলারের দাম অতীতের সকল রেকর্ড ভংঙ্গ করে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের প্রতিদিনকার রেট শীট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে ডলারের বিক্রয় মূল্য (বিসি-সেল) ৮৬.২৫ টাকা উল্লেখ থাকলেও গত ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ইং ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ক্রয় করতে ব্যাংক ভেদে একজন আমদানীকারককে গুনতে হচ্ছে ৯১.৭০ টাকা থেকে ৯২.০০ টাকা যা তাদের অফিসিয়াল দরের চাইতে ৫.৪৫ টাকা থেকে ৫.৭৫ টাকা বেশি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তার দেখভাল করার কেউ নেই। গত দুই দশকে আমরা মার্কিন ডলারের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি দেখছি তবে বর্তমানের মত এমন নাজুক পরিস্থিতিতে কখনোই পরতে হয়নি। অতীতে যখনই বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে , আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পলিসি গ্রহন করে তা সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। কখনো বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহকে ডলার সরবরাহ করেছে, কখন টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্য পূর্নণির্ধারণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে তার কোনটাই চোখে পরছে না। মনে হচ্ছে এ অনিয়ন্ত্রিত মার্কিন ডলারের নিয়ন্ত্রনে কারো কোন দায় নেই।

টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে বাজারে ডলারের চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে। ডলারের দাম বেড়ে গেলে আমদানী ব্যয় বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে পণ্যের দামও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায় যা প্রান্তিক ভোক্তাদের উপর বর্তায়, এতে আমদানীকারকদের কোন দায় থাকেনা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরো দায় বর্তাচ্ছে আমদানীকারকদের উপর, যা মোটেও কাম্য নয় এবং দীর্ঘমেয়াদে তা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং কাংখিত জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাড়াবে।

আমদানীকারকগণ ডেফার্ড ও ইউজেন্স এলসির মাধ্যমে সাধারনত ৯০ থেকে ১৮০ দিনের ক্রেডিটে ঋনপত্র খোলে থাকে। উদাহারন হিসেবে বলা যায়, আজ কোন আমদানীকারক কোন ব্যাংকে যে ঋনপত্রের বিপরীতে পেমেন্ট দিচ্ছে তা ৯০/১৮০ দিন পূর্বের বিল। যখন মার্কিন ডলারের রেট ছিল ৮৫.৮০ টাকা এবং সে রেট ধরেই আমদানীকারকগণ পণ্যের কস্টিং ও প্রাইসিং করে পণ্য বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই ৮৫.৮০ টাকা হারে যেই ঋনপত্র ৯০/১৮০ দিন পূর্বে নির্ধারিত হয়েছিল তা আজকের দিনে শোধ করতে হচ্ছে ৯১.৭০ টাকা থেকে ৯২.০০ টাকা। কোন আমদানীকারকের যদি ১ মিলিয়ন ডলারের একটি এলসি পেমেন্ট সেটেলমেন্ট করতে হয় তবে তাকে আজকের দিনে অতিরিক্ত (৯২.০০-৮৫.৮০)= ৬.২০ টাকা হিসেবে মোট (৬.২০*১০,০০,০০০) = ৬২,০০,০০০/- (বাষট্টি লক্ষ) টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হচ্ছে, যা শতকরা ৭ ভাগেরও বেশি। যদি মাসে এরূপ ১০ টি পেমেন্ট থাকে তবে তাকে অতিরিক্ত ৬,২০,০০,০০০/- (ছয় কোটি বিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করতে হচ্ছে যা তার পণ্যের কস্টিং ও প্রাইসিং এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল না। খোলা বাজরে (কার্ব মার্কেট) মার্কিন ডলারের দাম আরো বেশী।

প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে ডলার রেটের অনিশ্চয়তা রোধ করার জন্য হেজিং সিস্টেম থাকলেও অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের কারনে এবং পণ্য ব্যায় কমাতে বেশিরভাগ আমদানীকারকগণই তা করতে সক্ষম হয়ে উঠে না। এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে আমদানীকারক গণ সংকটে পরলেও লাভবান হচ্ছে রপ্তানীকারকরা। যাদের আমদানী ও রপ্তানী দুটোই রয়েছে তারা ব্যালেন্সড অবস্থ্ায় রয়েছে কিন্ত যারা পুরোপুরি আমদানী নির্ভর তাদের অবস্থা বেগতিক। এমতাবস্থায় গড়ে প্রতি মাসে একজন আমদানীকারকে ৬,২০,০০,০০০/- (ছয় কোটি বিশ লক্ষ) টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হলে (শতকরা ৭ ভাগের অধিক) তাকে নিশ্চিতভাবে লোকসানে পড়তে হবে। কেননা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সকল পণ্যে ৭% নীট মুনাফা সম্ভবপর নয়। গত ২/৩ মাসের এরূপ ধারার ফলে আমদানীকারদের নাভিশ^াস এখন চরমে। এভাবে চলতে থাকলে অনেক আমদানীকারক খুব শিগ্রই ব্যাংকের দায় পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়বে। তখন আমদানীকারদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ ও ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের ঘচখ বেড়ে যবে ফলশ্রুতিতে তাদের প্রভিশন বেড়ে যাবে এবং আয় কমে যাবে।

অতিরিক্ত আমদানী ব্যয়, কম রেমিট্যান্স, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এর গ্যাপ এর বৃদ্ধি ও গার্মেন্টস রপ্তানীতে কম্পিটিটিভনেস বাড়াতে প্রয়োজনে টাকার পূনমূল্যায়ন করা হোক এবং সকল ব্যাংক তা সঠিকভাবে পালন করুক। তাইলে আমদানীকারকরা সেই অনুযায়ী তার পণ্যের কস্টিং ও প্রাইসিং নির্ধারণ করে তার দেনা লিপিবদ্ধ করবে।এতে এরূপ অনিশ্চিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না। সম্প্রতি আমদানী কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন এক সার্কুলার জারী করেছে যেখানে বলা হয়েছে ঋনপত্রের মার্জিন ( কিছু ক্ষেত্র ব্যতিত) নূন্যতম ২৫% রাখতে হবে।এটি নতুন ভাবে মরার উপর খড়ার ঘাঁ রূপে আবির্ভূত হয়েছে। কেননা ব্যাংক-গ্রাহক সর্ম্পকের ভিত্তিতে ভালো গ্রাহকদের ঋন পরিশোধের ধারাবাহিক সক্ষমতার ভিত্তিতে মার্জিন এর হার নির্ধারিত হয়ে থাকে যা ক্ষেত্র বিশেষে শুন্য ভাগ ও হয়ে থাকে। বর্তমানের সার্কুলারের ফলে আমদানীকারকদের নগদ অর্থের সংস্থান আরোও বাড়াতে হবে এতে কস্ট অব ক্যাপিটাল আরো বেড়ে যাবে। অতিরিক্ত মার্জিন প্রদান করাতে আমদানীকারক ও ভোক্তা সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ব্যাংকগুলো বিশেষ সুবিধা পাবে আর ব্যাংকের এরূপ সুবিধার বিপরীতে গ্রাহকের কোন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা উক্ত সার্কুলারে নেই। সব মিলিয়ে এক অসম পরিস্থিতিতে দেশের আমদানীকারকরা, যা কোন ভাবেই চলতে পারে না এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য চলতে দেয়া ঠিক না।

সাম্প্রতিককালে শ্রীলংকার রিজার্ভ পরিস্থিতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক ধ্বসের কারনে আমরা অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি এবং ডলার মার্কেট নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ ব্যাংক তার রিজার্ভ খরচে অতিরিক্ত হিসাবী হয়ে পড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমাদের এখনই এতটা আতঙ্কিত হবার তেমন কোন আশংকা নেই। রপ্তানীর বিপরীতে আমদানী ব্যয়ের যে আধিক্য আমরা দেখছি , একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে তা এতটা প্রকট মনে হবে না। গত জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২১ সময়কালে মোট রপ্তানীর পরিমান ছিল ২৫.৮৬ বিলিয়ন ডলার আর বর্তমান জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২২ সময়কালে তা দাড়িয়েছে ৩৩.৮৪ বিলিয়ন ডলার। যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ৩০.৮৬ ভাগ যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। অপর দিকে গত জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২১ সময়কালে মোট আমদানীর পরিমান ছিল ৪০.০৭ বিলিয়ন ডলার আর বর্তমান জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২২ সময়কালে তা দাড়িয়েছে ৫৮.৭৭ বিলিয়ন ডলার । যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ৪৭.০০ ভাগ।

আমদানীর পরিমান যতটুকু বেড়েছে তার সিংহভাগ হচ্ছে জগএ এর ওহঃবৎসবফরধঃব মড়ড়ফং যার মধ্যে রয়েছে জধি পড়ঃঃড়হ, ণধৎহ, ঞবীঃরষব ধহফ অৎঃরপষবং, ঝঃধঢ়ষব ভরনৎব, উুবরহম ধহফ ঃধহহরহম সধঃবৎরধষং ইত্যাদি যা সময়ের ব্যবধানে পুনরায় রপ্তানী হবে এবং রপÍানীর প্রবৃদ্ধি বাড়াবে যা আমদের জন্য স্বস্তির বিষয়। সুতরাং আমদানী ব্যয় বাড়ার কারনে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে তা এককভাবে সঠিক নয়। এখানে কোন সেন্ডিকেশন কাজ করছে কিনা তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করা জরূরী। তবে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। গত করোনা পরিস্থিতি প্রকট থাকার পরেও জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২১ সময়কালে মোট রেমিটেন্স এর পরিমাণ ছিল ১৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার যা বর্তমান জুলাই-ফেব্রুয়ারী ২০২২ সময়কালে ১৩.৪৪ বিলিয়ন ডলার এ নেমে এসেছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সত্তে¦ও ২৪.১৮শতাংশ রেমিটেন্স কমে যাওয়া উদ্বেগজনক ।পুরো রেমিটেন্স প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমাদের মোট রেমিটেন্সের সিংহভাগ(৩.৯৩ বিলিয়ন ডলার) আসে সৌদি আরব থেকে যা মোট রেমিটেন্সের শতকরা ২৩.৫৬ ভাগ যা বর্তমান সময়কালে ৩.১১ বিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে । তার পরের ধাপে ইউএসএ, ইউকে, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার , মালয়েশিয়া, ইটালি ও ওমানের অবস্থান থাকলেও ইউএসএ এবং ইটালি ব্যতীত সকল দেশ থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমেছে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন জরুরী।
উদ্বেগের এই অংশটুকু বাদ দিলে ডলার মার্কেট নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রয়োজনীয় কিছু ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরবরাহ করলে চলমান সংকট দূর হবে এবং টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্য যৌক্তিকভাবে পূর্নমূল্যায়ন করলে আমদানীকারকদের সংকট দূর হবে বলে সংশ্রিষ্টদের মতামত।

ধরা হয়ে থাকে কোন দেশের ৩ মাসের আমদানী ব্যয় পরিশোধের সমান ডলার রিজার্ভ থাকলে তা স্ট্যান্ডার্ড । বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ এর পরিমান ৪৪ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের মাসিক আমদানী ব্যয় প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার সেই হিসেবে ৬ মাসের অধিক আমদানী ব্যয়ে মিটানোর সক্ষমতা রয়েছে যা ওর্য়াল্ড স্ট্যান্ডার্ড এর ডাবল। সুতরাং বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ২ বিলিয়নের মত ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করলে আতঙ্কিত হওয়ার মোটেও কোনো কারন থাকার কথা নয়।

আতংকের বিষয় অন্য জায়গায়, সেগুলোর লাগাম টানতে না পারলে আমাদের দেশকে শ্রীলংকার পরিণতি বরন করতে হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুর্নীতি। বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের যে দুর্নীতির খবর সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি তার ফলে কিছু অসাধু কর্মকর্তার হাতে যদি অগাধ অর্থের আগমন ঘটে থাকে, রেগুলেটারী বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার কারনে এসব অর্থ দেশে বিনিয়োগ করা সম্ভব হয় না ফলশ্রুতিতে এসব অর্থের আলটিমেট ডেস্ট্রিনেশ হয় পাচার। কিছু অর্থ ব্যয় হয় অপ্রয়োজনীয় ভোগ বিলাসে যা ইনফ্লেশন বাড়ায় আর ইনফ্লেশন বাড়লে মুদ্রার মান কমবে বিপরীতে ডলারের দাম বাড়বে। দেশীয় বিকল্প পণ্য থাকা সত্তে¦ও এমন অনেক বিলাসী পণ্য ও দেশে আমদানী হচ্ছে যা নিষিদ্ধ করা জরুরী। অনিয়ন্ত্রিত প্রকল্প ব্যয় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কমানো জরুরী।

প্রবাসী রেমিটেন্স বাড়ানোর লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে, অবৈধ উপায়ে প্রবাসীদের দেশে অর্থ প্রেরনের প্রক্রিয়াতে নজরদারী ও বৈধ চ্যানেলে অর্থ প্রেরনের উপর ক্যাশ ইনসেনটিভ বাড়াতে হবে, খোলা বাজারে ডলার লেনদেনে বিধি নিষেধ আরোপ করতে হবে, জরুরী প্রয়োজন ব্যতিরেকে ডলার ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে ।

সম্প্রতি দেশের দুটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ একে অন্যের নিয়ন্ত্রনাধীন থাকা ব্যাংকের মাধ্যেমে তাদেও গ্রুপের বিপুল পরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করিয়ে নিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋনের সুদ মওকুফে বিভিন্ন লিমিটেশন দিয়ে তাৎক্ষনিক সার্কুলার জারি করে কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডলারের দর নিয়ন্ত্রনে কার্যত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা আমদানী নির্ভর ব্যবসায়ীদের সংকট বাড়িয়ে তুলছে।

সার্বিক বিষয় সমূহ সর্বাধিক গুরত্বসহকারে বিবেচনা করে লাগামহীন এরূপ ডলার দর নিয়ন্ত্রনে অনতিবিলম্ভে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

লেখক: মোঃ আল-আমিন ভূঞাঁ, প্রধান আর্থিক কর্মকতা, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন