সাইবার বিশ্বে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদেশি সফটওয়্যার নির্ভরতা কমানোর আহ্বান

সাইবার

টেকভিশন২৪ ডেস্কঃ ভোক্তাদের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। আর এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নাগরিক অধিকার ও সীমবদ্ধার বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার রাষ্ট্রের। বাংলাদেশে তা হচ্ছে না। একইসঙ্গে সাইবার বিশ্বে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আর্থিকসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যার ব্যবহারে বিদেশি নির্ভরতা কমানো দরকার।   

আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা সপ্তাহ [২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি (ডাটা প্রাইভেসি উইক )] উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন আলোচকরা। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) আয়োজিত কর্মশালায় পৃষ্ঠপোষক ছিল তথ্য প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টআইরা লি. ও সাইবার প্যারাডাইজ লি.। এতে সভাপতিত্ব করেন সিসিএ ফাউন্ডেশন সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। আলোচক ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ফিনটেক, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি প্র্যাকটিশনার প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান ও সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. সাইমুম রেজা তালুকদার। কর্মশালায় তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।  

প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী সব মানুষই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে। এজন্য সচেতন থাকার বিকল্প নেই। সফটওয়্যার তৈরি থেকে শুরু করে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো পোস্ট দিতেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে, আমার হাত দিয়ে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু হচ্ছে কি না।    

সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিকার এবং দায়িত্বশীলতা দুটো দিকই খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিতে আইনগুলোতে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পস্ট সীমারেখা থাকা উচিত যে রাস্ট্র কতোটুকু তথ্য নিতে পারবে। রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য নেয়ার এই প্রক্রিয়ার জবাবদিহিতা আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত করা উচিত। সর্বোপরি, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট” না করে ‘ডিজিটাল ফ্রিডম অ্যাক্ট’ করলে অধিকতর যুক্তিযুক্ত হতো যেখানে নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্যবোধের সমন্বয়ের মাধ্যমে নাগরিকদের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা উভয়ই নিশ্চিত করার সুযোগ থাকে।

কাজী মুস্তাফিজ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির যেভাবে প্রসার হচ্ছে সেখানে তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক সাইবার রাজনীতিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব নির্ভর করছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার উৎপাদনে দেশের ভূমিকা কতোটা তার ওপর। সাইবার বিশ্বে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আর্থিকসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যার ব্যবহারে বিদেশি নির্ভরতা কমানো দরকার। একইসঙ্গে ভোক্তাদের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। ভোক্তাদের উচিত ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য দেওয়ার সময় কোথায় দেওয়া হচ্ছে এবং সেখানে তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে কি না সেটি খেয়াল রাখা। 

[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=wcIfLGqrcx4[/embedyt]

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন