টেকভিশন২৪ ডেস্কঃ ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২ প্রতিযোগিতার সেরা ১০ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরন করে ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর, বিডিঅ্যাপস। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গালা ইভেন্টে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে “বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২” এর এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রবি পরিচালিত বিডিঅ্যাপস আইসিটি বিভাগের সহযোগে এ জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন তরুণ অ্যাপস ডেভেলপাররা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। তিনি বলেন ”বিডিঅ্যাপস একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশের তরুণ, তরুণীদের প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনসন্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ অগমন্টেড রিয়েলিটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ব্লকচেইন, রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটিসহ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন বর্তমানে আইটি, আইটিইএস খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী ২০২৫ সালে আমাদের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমারা। আমাদের তরুণ অ্যাপস ডেভেলপারদের সহযোগিতায় আমাদের সেই লক্ষমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি জানান।
দদঅনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও রাজীব শেঠি, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ।
পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, মোট ২ হাজার দলে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় ৫ হাজার অ্যাপ ডেভেলপার অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনের পূর্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে পাঁচটি আঞ্চলিক পর্যায়ের হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয় যেখানে সারা দেশের অ্যাপস ডেভেলপাররা অংশ নেন। আঞ্চলিক হ্যাকাথন শেষে ৩৬টি দলকে মাসব্যাপী অনলাইন মেন্টরশিপ প্রদান করে ১৫টি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে দলগুলো ৪-৫ নভেম্বর আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যার মধ্যে থেকে সেরা ১০টি দল প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়।
প্রতিযোগিতার শীর্ষ দল হিসেবে নির্বাচিত হয় টিম হাকো। টিম এনইউবি ও টিম সাঙ্গু যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে। প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনটি দলকে পুরষ্কার হিসেবে যথাক্রমে দুই লাখ, এক লাখ পঁচিশ হাজার এবং পঁচাত্তর হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সেরা ১০টি দলকে পুরস্কার হিসেবে সর্বমোট মোট পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।