দেশজুড়ে পণ্য ডেলিভারি ও টাকা গ্রহণে ডাক বিভাগের অনুমোদন পেলো “ডেলিভারি টাইগার”

ছবিতে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে ডেলিভারি টাইগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম মাশরুর এই লাইসেন্স আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করেন ।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন ‘কুরিয়ার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ’ হতে দেশজুড়ে ই-কমার্সের পণ্য ডেলিভারি এবং ডেলিভারির টাকা সংগ্রহ ও বিতরণ করার অধিকার পেয়েছে দেশের ই-কমার্স ডেলিভারি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি টাইগার।

সম্প্রতি, ঢাকার পোস্ট অফিস কার্যালয়ে সম্প্রতি ‘মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের’ চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ডেলিভারি টাইগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম মাশরুরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে লাইসেন্স  হস্তান্তর করেন ।

টেকভিশন২৪.কম কে ফাহিম মাশরুর বলেন, ডেলিভারি টাইগার আরো আগে আবেদন করেছিল। গত বৃহস্পতিবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স গ্রহণ করেছি। এখন থেকে পণ্য ডেলিভারি ও ডেলিভারির টাকা সংগ্রহ করতে আমাদের আর বাঁধ নেই। প্রত্যেকটা ডেলিভারি কোম্পানিকে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নিতে হয়। বর্তমানে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ডেলিভারি কোম্পানি সেবা দিয়ে যাচ্ছে, তাদের সবার লাইসেন্স নয় আছে কিনা আমার জানা নেই।  আমরা এ লাইসেন্সের জন্য ডাক বিভাগে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি হিসেবে জমা দিয়েছি।  ডাক বিভাগ দেশের ই-কমার্স বিস্তারের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে। গত ২ বছরে ই-কমার্স খাতে নানা ধরণের দুর্ঘটনা বা প্রতারণার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনেছে যা শৃঙ্খলা আনতে সহায়তা করবে। ই-কমার্স ডেলিভারির জন্য ডাক বিভাগের লাইসেন্সও একই ভাবে কাস্টমার ও বিক্রেতাদের যেকোনো প্রতারণার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, যে দেশে অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসার ব্যাপক প্রসার হয়েছে। একই সাথে সঠিক সময়ে পণ্য না পাওয়ার অভিযোগও অনেক বেড়ে গেছে। সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। সাথে সাথে বেশ কিছু কুরিয়ার কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে যে তারা পণ্য ডেলিভারি করে কাস্টমার থেকে যে নগদ অর্থ সংগ্রহ করে, তা সঠিক সময়ে বিক্রেতার কাছে জমা দেয় না। এছাড়ও অনেক ক্ষেত্রে ডেলিভারির পণ্য চুরি হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়I এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ই-কমার্স ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষই (বর্তনামে ৮০% এর বেশি অনলাইন অর্ডারের ক্ষেত্রে পণ্যের দাম কুরিয়ার কোম্পানিগুলো কাস্টমারদের কাছ থেকে পণ্য ডেলিভারীর পরে নগদ সংগ্রহ করে)।

ই-কমার্স ডেলিভারি ও টাকা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার জন্য সরকারের ‘কুরিয়ার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ’, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে ডাক বিভাগের লাইসেন্স ছাড়া অনলাইন অর্ডারের প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা বা টাকা কাস্টমারদের থেকে সংগ্রহ করা আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশনা জানতে ক্লিক করুন

ডেলিভারি টাইগার নিয়ে আরো জানতে : https://deliverytiger.com.bd/

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন