দিনাজপুরে স্থাপিত হলো শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার

দিনাজপুর
জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দিনাজপুর এই সেন্টারটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: দিনাজপুরে স্থাপিত হলো শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর। জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম সহ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে এই সেন্টারটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমরা খুবই সীমিত সংখ্যক গ্রাজ্যুয়েটকে চাকরি দিতে পারি। কিন্তু প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী কর্মজীবনে প্রবেশ করছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে এইচএসসি, এসসএসসি পাশ করেই যেনো যে কেউ ৬/১২ মাসের সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে আইটি ফ্রিল্যান্সার হয়ে কিংবা উদ্যোক্তা হয়ে আত্ম কর্মসংস্থান করতে পারে যেজন্য ৬৪টি জেলাতেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছি। আমরা আশা করছি দিনাজপুরের এই সেন্টার থেকে প্রতিবছর অনন্ত এক হাজার তরুণ-তরুণীর আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তিন হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষণ আমরা দিতে পারবো।

আগামী দিনে আইটি ইন্ডাস্ট্রিদেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়কারী সংস্থা হবে উল্লেখ করে পলক আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ভাই আমাদের টার্গেট দিয়েছেন যেনো আমার ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারি। আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৪ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়নে উন্নীত করতে চাই।

আমাদের তরুণদের স্মার্ট নাগরিকে পরিণত করতে আগামী দিনে উন্নত-আধুনিক স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশের চালিকা শক্তি হবে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার- যোগ করেন পলক।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ন কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারী কলেজের ভেতরে ৩ একর জায়গা জুড়ে ভূমি উন্নয়ন করে ৬তলা বিশিষ্ট ৪৮ হাজার বর্গফুটের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন ভবন নির্মাণ হবে। প্রথম তলায় থাকবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসেপশন, উপাসনা কক্ষ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, সিকিউরিটি এবং সার্ভিলেন্স সেন্টার, প্লাগ অ্যান্ড প্লে ফ্যাসিলিটিজ এবং ফুড কর্নার। দ্বিতীয় তলায় থাকবে স্টার্টআপ স্পেস ও লার্নিং সেন্টার। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকবে ট্রেনিং, এইচআরডি সেন্টার এবং মিটিং কক্ষ। ৫ম তলায় থাকবে আইটি, আইটিএস ইন্ডাস্ট্রি, বিজনেস অফিস ও ইনকিউবেশন ফ্লোর। আর ৬ষ্ঠ তলায় থাকবে সোশ্যাল আমেনিটি ফ্লোর এবং জিম।

৭২ কোটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে এই আইটি সেন্টারটি আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুনে বাস্তবায়িত হবে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন