বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে অটোমেশনে কাজ করবে গ্রোয়ো কনসালটেন্সি, সেনট্রিক পিএলএম ও ইনটেন্ট-৩৬০।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: প্রযুক্তির বাড়িয়ে ব্যবহার এবং সঠিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশের পোশাক তৈরির খাতকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বিজনেস টু বিজনেস ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সাপ্লাই চেইন অটোমেশন কোম্পানি গ্রোয়ো কনসালটেন্সি, সেনট্রিক পিএলএম ও ইনটেন্ট-৩৬০।

এ বিষয়ে (১৪ আগস্ট, সোমবার) যৌথভাবে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ক্রাউন প্লাজায় ‘লেটেস্ট বায়ার ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট’ শিরোনামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এমইএস বিশেষজ্ঞ এবং ইন্টেন্ট ৩৬০-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিফাত নাওঈদ।

লাইফ সাইকেল ম্যানেজমেন্টের (পিএলএম) মাধ্যমে প্রযুক্তি ডিজাইন থেকে প্রি-প্রোডাকশন পর্যায়ে ক্রেতা এবং উৎপাদনকারীদের মধ্যে দূরত্ব কমানোই অনুষ্ঠানের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল। পিএলএমের ব্যবহার ক্রেতাদের মাঝে ক্রমেই বাড়ছে। প্রথম সেশনে ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরণের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্বয়ংক্রিয়, বিপুল ও লাভজন অ্যাপারেল পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সেন্ট্রিক সফটওয়্যারের সিনিয়র সেলস ডিরেক্টর নিক ওয়েই বলেন, “সাধারণত ক্রেতারাই পিএলএমের ব্যবহার শুরু করেছিল। কিন্তু বর্তমানে পোশাক তৈরি খাতে আধুনিকতার প্রভাবে উৎপাদনকারীরাও পিএলএম ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। ক্রেতারা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করতে চায়। আর এই লক্ষ্যে তাদের মাঝে সংযোগ তৈরি করছে পিএলএম। এমএএস হোল্ডিংস, ব্র্যান্ডিক্স, ক্রিস্টালের মতো বড় ক্রেতারা পিএলএমের মাধ্যমে উৎপাদনকারীদের সঙ্গে আরও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ”

“কী ডিফারেন্সিয়েটরস” শীর্ষক দ্বিতীয় সেশনে একটি কেস স্টাডির মাধ্যমে লাদেশের পোশাক উৎপাদন খাতকে অত্যাধুনিক এবং পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে গ্রোয়ো কনসালটেন্সি, সেনট্রিক পিএলএম, এবং ইনটেন্ট-৩৬০ ভুমিক তুলে ধরা হয়।

ইনটেন্ট-৩৬০ এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শ্রাজন সাক্সেনা প্রযুক্তিগত পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক খাতের অটোমেশন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করতে প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। গত বছর তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক আরএমজি বাণিজ্যের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এই টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখতে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের প্রয়োজন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি।”

প্যানেলে গ্রোয়ো কনসালটেন্সির ডিরেক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সিলেন্স অভিষেক যুগল বলেন, “আরএমজি খাতের প্রয়োজন প্রথাগত স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে একটি কার্যকর টেকসই উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সম্প্রতি ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে ২০০তম এলইইডি গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ধরনের সমঝোতা স্মারকগুলোর মাধ্যমে টেকসই বৃদ্ধির বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান তৈরি জন্য পোশাক প্রস্তুতকারকদের এখনই সঠিক সময়।”

এছাড়া আরএমজি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন