১৯টি আইআইজি’র ৩৮০ কোটি বকেয়া, ব্যান্ডইউথ ডাউন

বকেয়া আদায়ে দেশের ১৯টি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে)’র ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডইউথ ডাউন করায় সন্ধ্যা থেকে ইন্টারনেটে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, যেখানে গ্রহাকের স্বার্থ জড়িতে সেখানে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের ভাবা উচিত। কারন, এই ক্ষতির প্রভাব অনেক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আইএসপি ফোন করে ইন্টারনেট ধীরগতি জনিত কারনে অভিযোগ করছে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, যে সব আইআইজির টাকা বকেয়া আছে তাদের সাথে অনেকবার মিটিং করা হয়েছে। কিন্তু কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উপর মহলের নির্দেশে ১৯টি আইআইজির ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ড উইথ লিমিটেড করা হয়েছে। ১৯ টি আইআইজির মোট ৩৮০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, পাওনা আদায়ে গত ১৩ জুলাই টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেয় বিএসসিপিএলসি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেয়। এরপরও সাড়া দেয়নি সংশ্লিষ্ট আইআইজি প্রতিষ্ঠান।

মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে একটি আইআইজি টাকা পরিশোধ করায় ১০০ জিবিপিএস ব্যান্ড উইথ আপ করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী রবিবারের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে আইআইজিএবির মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ গণমাধ্যমকে বলেন, যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে আরও অনেকের ব্যান্ডউইথ সীমিত করা হয়েছে। তাদের আগাম নোটিশ দিতে পারত। সীমিত করার আগে অন্তত জানাতে পারত। আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হকের মতামতই একই। তিনি বলেন, আমার জানা অনেক আইআইজি আছে যাদের কোনো নোটিশ প্রদান করা ছাড়াই ব্যান্ডউইথ ডাউন করা হয়েছে।

দেশে এখন মোট ব্যান্ড উইথের চাহিদা ৫১০০ জিবিপিএস তার মধ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস সরবরাহ করে ২৪৮৫ জিবিপিএস।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন