হাইজিন কারিকুলাম বই বিতরণ

হাইজিন

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: হাইজিন একাডেমির কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কুমিল্লা জেলার ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হলো “হাইজিন কারিকুলাম” বই।

জীবাণুর থেকে সুরক্ষিত থাকতে গড়ে তুলতে হবে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস। আর এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে শিশুকাল থেকেই। ডেটল ও হারপিক বিগত ৫ বছর ধরে হাইজিন বিষয়ক ক্যাম্পেইন “ডেটল হারপিক পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ” পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি (ডেটল-হারপিক) ও বাংলাদেশ স্কাউটস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হাইজিন অভ্যাস গড়তে “হাইজিন একাডেমি” নামক একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মৌলিক নিয়মগুলোকে শিশুপাঠ্য উপযোগী করে “হাইজিন কারিকুলাম” নামক বই আকারে সংকলন করা হয়েছে। লেভেল ১, লেভেল ২ ও লেভেল ৩ -এই তিনটি ধাপে ৫০টি অনুচ্ছেদে বইগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে, যা ৩ মাস ব্যাপী মূল সিলেবাসের পাশাপাশি পড়ানো হবে। হাইজিন নিয়ে সঠিকভাবে শিক্ষা দেয়ার জন্য এপ্রিলে এই ৪টি বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা হাইজিন একাডেমীর এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রদান করা হয়।

গত ২৪ আগস্ট ২০২২ কুমিল্লার নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম, চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা; সভাপতিত্ব করেন কাজী নাজমূল হক, জাতীয় কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য), বাংলাদেশ স্কাউটস; এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে জনাব রাশেদা আক্তার, কমিশনার, বাংলাদেশ স্কাউটস, কুমিল্লা অঞ্চল; জনাব কে এম সাইদুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ স্কাউটস; জবান মো. আবদুল মান্নান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কুমিল্লা।     

এই কার্যক্রম নিয়ে সালাহউদ্দিন তারেক, মার্কেটিং ম্যানেজার, হারপিক বাংলাদেশ বলেন “পরিচ্ছন্নতা একটি অভ্যাস। আর এই অভ্যাস গড়ে ওঠে ছোটবেলা থেকেই। তাই বিগত পাঁচ বছর ধরে চলমান “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ” ক্যাম্পেইনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা শিশুদের হাইজিনের অভ্যাস গড়ে তোলার একটি উদ্যোগ নিয়েছি। হাইজিন একাডেমির এই কার্যক্রমে স্কুলের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিশুদের হাইজিন বিষয়ক অনুশীলন করানো হবে। এতে করে পরবর্তী প্রজন্ম বেড়ে উঠবে সুস্থ্য, সবল ও সুরক্ষিত হয়ে।”

বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ্য, সবল ও সুরক্ষিত রাখার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুশীল ব্যক্তিগণ।    

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন