‘সিনার্জি স্কোয়াড’ সদস্যদের সবসময় পাশে থাকবে: হাবিবুল্লাহ এন করিম

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একেবারে শুরুর দিকের উদ্যোক্তা হাবিবুল্লাহ এন করিম। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যাত্রার শুরু থেকেই এই খাতের জন্যে একটি সংগঠন গড়ে তোলার অনুধাবন থেকেই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। সংগঠনটির দুইবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা তৈরিতেও কাজ করেছেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অ্যাডভোকেসি, গবেষণা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির মাঝে সমন্বয় সাধনে কাজ করে চলেছেন তিনি।

হাবিবুল্লাহ এন করিম ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেড এবং প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ ২০০১-২০০৩ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০২-০৩ এবং ২০০৮-০৯ মেয়াদে তিনি দুইবার বেসিস এর সভাপতি নির্বাচিত হন।

ন্যাশনাল আইসিটি পলিসি রিভিউ কমিটির আহবায়ক হিসেবে অনুমদিত বাংলাদেশ আইসিটি পলিসি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি এবং বাংলাদেশ আইসিটি পলিসি হালনাগাদ করনে অদ্যাবধি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

২০০৬ সালে কমনওয়েলথ মিনিস্টার্স রেফারেন্স বইতে তাঁর লেখা ‘ইমপ্যাক্ট অফ আইসিটি অন দ্য বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইকোনমি’ প্রবন্ধটি স্থান পায়। দ্য ডেইলি স্টার এবং দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন হাবিবুল্লাহ এন করিম।

যৌথভাবে তিনি, প্র্যাগম্যাসিস ইনক. এর কামরুল মিনা এবং ম্যাককিনসি এন্ড কোং এর স্যাম গুলাম সামদানি মিলে লেখেন ‘গোয়িং ডিজিটাল- রিয়েলাইজিং দ্য ড্রিমস অফ আ ডিজিটাল বাংলাদেশ ফর অল’। বইটি ২০১১ সালে দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়।

হাবিবুল্লাহ এন করিম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের গভার্নিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশেনের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন কমিটির সদস্য। এছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওয়ের সহযোগী বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এছাড়াও তিনি আইসিটি ডিভিশনের স্টার্টআপ ভেঞ্চার ফান্ডের পারফর্মেন্স মনিটরিং এবং সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান এবং কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। হাবিবুল্লাহ এ করিম ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর ডিগ্রী সমাপ্ত করেন।

বেসিসের ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ‘সিনার্জি স্কোয়াড’ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে খোলামেলা এ আলাপচারিতায় টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম তুলে এনেছেন বেসিসকে ঘিরে প্রার্থীদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, ভোটারদের প্রতি প্রতিশ্রুতি, অতীত অভিজ্ঞতাসহ নানা বিষয়।

প্রশ্ন : বেসিসের প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন আপনি। বেসিস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: আমরা যারা সফটওয়্যারের ব্যবসা করি তাদের মধ্যে ৭/৮ জন মিলে ১৯৯৭ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠার উদ্যেগ্য নেই। এই উদ্যোগ্যটা শুরু হয় আরও চার বছর আগে ১৯৯৩ সালে। ঐ সময় আমি বুঝতে পারি আমাদের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের যে প্রয়োজন আছে সেগুলোর জন্য একটু প্রতিষ্ঠান দরকার। সফটওয়্যার কপিরাইট, প্রফেশনার সার্ভিসেসের কোম্পানিগুলোর জন্য আমাদের নিজস্ব একটা ফোরাম দরকার। ঐ সময় সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করতো তাদের নিয়ে আলোচনা করে ফোরাম করার সিদ্ধান্ত নেই। যে কোনো কারণেই হোক ১৯৯৩ সালে ফোরামটি আর তৈরি করা হয় নাই। ১৯৯৭ সালে ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ফোরাম করার জন্য আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। সবাই সহমত দেয় একটি সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস এসোসিয়েশন হওয়া দরকার। বিশেষ করে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী যে রিপোর্ট দিয়েছিলো সরকারকে ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝি। সেখানে স্যার উল্লেখ করেছিলো সফটওয়্যার রপ্তানিতে যদি আমাদের ভুমিকা রাখতে হয়। তাহলে আমাদের শক্ত, পাওয়াফুল সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি এসোসিয়েশন দরকার। তখন আবার আমরা নতুন করে আলোচনা শুরু করি। তখন আমি বেসিস তৈরি করার জন্য উদ্যেগ্য নেই। একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা সংগঠন করবো। ঐ মিটিংয়েই আমরা সবাই মিলে নাম ও উদ্দ্যেশ ঠিক করি। নতুন এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিজকে একটা ইন্ডাস্ট্রিজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। এটা ছিলো এক নম্বর উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই ইন্ডাস্ট্রিজের যে প্রয়োজন আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা। সে প্রয়োজনগুলোর মধ্যে ছিলো সফটওয়্যারের কপিরাইট।আমাদের সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানের জন্য যে দক্ষ জনবল দরকার সেগুলো তৈরি করতে সাহায্য করা। দক্ষ জনবল তৈরি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে আসন বৃদ্ধি করতে হবে। ১৯৯৭ সালে বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স পড়ানো হতো না। এবং বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব অল্প সংখ্যা সিট ছিলো। আমাদের একটা টার্গেট ছিলো কম্পিউটার সাইন্স সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেওয়া।এবং সিটের সংখ্যা ত্রিশ থেকে ১০০ তে বাড়ানো। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ভালো করতে হলে দরকার নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ। ঐ সময় গ্লোবাল কোনো হাবের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ ছিলো না। এ জন্য আমাদের দাবি ছিলো স্যাটেলাইটে ইন্টারনেটের সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আমাদের শেষ একটা দাবি ছিলো সেটা হলো একসেস টু ফাইনান্স। ব্যবসা করতে ব্যাংক থেকে পাওয়ার সুব্যবস্থা করা। তখন বেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থা ছিলো না। বেসিসের শুরুর দিকে ব্যাংক লোন সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো পেত না। তখন আইটি ব্যবসায় ব্যাংকের লোন পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ছিলো। লোন পাওয়া আরও কিভাবে সহজ করা যায় এ নিয়েও আমরা কাজ করেছি। এসব কারণ ও উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বেসিস প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯৮ সালেই বেসিসের রেজিষ্ট্রশন করে ফেলি। এফবিসিসিআইয়ের মেম্বারশীপ পাই, ব্যাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাই। প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ সফল ভাবে আমরা সকলে মিলে এ কাজটা সুন্দরভাবে করতে পেরেছি। এছাড়া আমরা শিক্ষিত বেকারদের প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা মাত্র ১৮ জন মেম্বার নিয়ে বেসিস শুরু করে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনের সব চাহিদা তখণ সরকার পূরণ করেছিলো। আমাদের চাহিদা মতো তারা কাজ করতো। সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন শুরু কিন্তু তখন থেকেই হয়েছিলো। এখন কিন্তু সারা দেশেই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। ব্যাংক থেকে সহজেই লোন পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তখনেই। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা সেটা হলো ১৯৯৯ সালেই কিন্তু আমরা সফটওয়্যারের কপিরাইট পেয়ে যাই। আমরা দাবিটা করি ১৯৯৮ সালে, ১৯৯৯ সালে দাবি মেনে নেওয়া হয়। এবং ২০০০ সালে একটা সংসদে আইন হিসেবে বিল পাশ হয়। এ জিনিসগুলো ছিলো আমাদের শুরুর দিকে চাহিদা। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমার বেসিস প্রতিষ্ঠা করি। এবং সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নেয়। আমাদের ভিশন ছিলো বাংলাদেশে একটা বড় সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিজ হবে। সরকারও আমাদের দাবি সম্পূর্ণ ভাবে মেনে নেয়। তখন বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি আমাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে ছিলো। এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও আমাদের বিশেষ ভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। সেই আঠারো জনের সংগঠন এখন সদস্য ১ হাজার আটশত জন। প্রায় একশত গুন বৃদ্ধি পেয়েছে শুধু মেম্বারের সংখ্যাই।

প্রশ্ন: বেসিসের দুইবারের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন সময় সদস্যদের জন্য কী কী ভুমিকা পালন করেছেন?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: বেসিস হলো সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসে ইন্ডাস্ট্রিজের ট্রেড অর্গানাইজেশন। এটি ক্লাব বা বিজনেস অর্গানাইজেশন না। বেসিস ইন্ডাস্ট্রিজ লবি অর্গানাইজেশন। বেসিসেসর দায়িত্ব হলো ইন্ডাস্ট্রিজের সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। আমরা সেটা করেছিলাম। আমরা যেনো সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করা। সেই ভাবেই বেসিস শুরু থেকে কাজ করে আসছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রচুর কাজ করা হয়েছে। বেসিসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা নির্বাহী কমিটি কিন্তু এ নিয়ে কাজ করেছেন। আমরা ইনকাম ট্যাক্সের সুবিধা পাবো ২০২৪ পর্যন্ত। ভ্যাটের বিষয়টা আমাদের জন্য অনেক সহনীয় করা হয়েছে। আমরা বিদেশে মেলা করার সুযোগ পেয়েছি। ১৯৯৮ সাল থেকে আমরা বিদেশে মেলা করে আসছি। এগুলোর মাধ্যমে আমার আন্তজার্তিক ভাবে দেশকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। আমার লোকাল মার্কেটকে আরও বেশি শক্তশালী ও সুসংগত করার জন্য বিভিন্ন ট্রেড বডির সঙ্গে আমরা সংলাপ করেছি। এটাই হচ্ছে বেসিসের কাজ। মেম্বারটা সবার আগে এ সুবিধাগুলো পায় কিন্তু আইটি ইন্ডাস্ট্রিজের সবাই কিন্তু আস্তে আস্তে সুবিধাগুলো পায়। আমাদের মেম্বাররা এ সুবিধাগুলো পেতে যদি কোনো অসুবিধা হয় তাহলে আমরা তাদের জন্য কাজ করি। লোকাল মার্কেট উন্নয়নের জন্য শুরু থেকে মেলা আয়োজন করেছি। এ মেলায় বাংলাদেশের মানুষের জন্যই না বিদেশ থেকে আগত মানুষের সামনে আমরা আমাদের সফটওয়্যার তুলে ধরা হয়েছে। তারা দেখেছে বাংলাদেশের সফটওয়্যারের সক্ষমতা কী। আজকে আমরা ৭০টির বেশি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছি। এটা তো হঠাৎ করে হয়নি। এটি বেসিসের অনেক দিনের কাজের ফল। আজকে যে ১০ শতাংশ প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে। এটাও কিন্তু বেসিস থেকে প্রস্তাব গেছে। বারে বারে সরকারকে চাপ দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এবং সে পর্যন্ত সরকার এটা মেনে নিয়েছে।

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাজীবন, প্রফেশনার ক্যারিয়ার এবং সাংগঠনিক সাফল্য সম্পর্কে কিছু বলেন?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: আমি সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে ১৯৮৭ সাল থেকেই জড়িত। আমি টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি শুরু করি ১৯৮৬ সালে। আইটি ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আমাদের হাত ধরেই তৈরি হয়। বিসিএসের প্রতিষ্ঠাকালীন ১১ জন মেম্বারের একজন আমি। বেসিসকে তো শূণ্য থেকে আমরা কয়েকজন সদস্য আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছি। সাংগঠনিক ভাবে আমি আরও অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। আমি সরাসরি ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯ সালের শেষে দিকে আমি ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিষ্ঠা করি। এটি ইন্ডাস্টিজ, একাডেমিশিয়ান এবং সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন করেছে। এ তিনের সমন্নয়ে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড করা হয়।  ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে আইসিটি বিভাগ থেকে লোক থাকে। বুয়েট থেকে মো. কায়কোবাদ রয়েছে। স্যার হচ্ছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের কনভেনার। ইন্ডাস্টিজের তরফ থেকে আমি হচ্ছি চেয়ারম্যান। আমাদের নির্বাহী কমিটি সব সেক্টর থেকেই লোক আছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে। আমাদের উপদেষ্টারা নিজ নিজ সেক্টরে বিখ্যাত। ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড শূণ্য থেকে করে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে দেশে প্রথম অলিম্পিয়াড করি। দেশের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০টি টিম অংশগ্রহন করে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে। সেখানে থেকে সেরা ১২টি টিম হংকংয়ে আন্তজার্তিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহণ করে। সেখানে প্রতিযোগিরা সেরা ৬টি পুরস্কারের মধ্যে দুটো পুরস্কার জিতে নেয়। ২০২১ সালে আমার আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশে আয়োজন করা হয়। এবং অনেকগুলো বিদেশে দল অংশগ্রহণ করেন। আমার এ প্রতিযোগিতায় তরুণদের দেখে খুব ভালো লেগেছে। তরুণরা খুব প্রতিভাবান, তাদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই আমি বেসিসের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ এখনকার বেশি ভাগ বেসিসের সদস্যই তরুণ। বেসিসের সঙ্গে আমি তিনবার নির্বাহী কমিটিতে ছিলাম। তখন আমি বেশ কিছু কাজ করেছি। যা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজে দেয়।  আমি যাই কিছুই করি না কেনো এটার একটা প্রতিষ্ঠানিক ভিত্তি থাকে। এই সুবিধাগুলো যেনো আমার অবর্তমানেও চালু থাকে। এবং সেটা কিন্তু ছিলো। আমি যখন ২০০১ সালে বেসিসের নিবার্হী কমিটিতে ছিলাম তখন বেসিস সফটএক্সো চালু করি। সেটা কিন্তু এখনও চলছে। আমার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেটা এখন চালু আছে। সারাদেশে সেটা স্থাপন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে আমরা বিশ্বের কাছে আউটসোসিংয়ের অংশগ্রহন নিশ্চিত করি। আমরা আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে মেলায় স্পন্সর করি। এরফলে সারাবিশ্বে আমাদের নাম ছড়িয়ে পরে। একই ভাবে আমার বিশ্বাস, এখন নতুন যে টেকনোলজি ব্লকচেইন, আইওটি, মেশিন ল্যানিং ইত্যাদি জায়গাতেও সক্ষমতা দেখাচ্ছি। এরফলে সারা পৃথিবীর মানুষের চোঁখ খুলে গেছে বাংলাদেশের ব্যাপারে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ আপকামিং দেশ মনে করে না। এখন বাংলাদেশকে তারা মনে করে প্রুভিং ডেটিনেশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড আইটি সার্ভিসেস। নতুন টেকনোলজিসের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে আছে। নতুন প্রযুক্তি সেক্টরে বাংলাদেশ প্রচুর কাজ করছে। আমাদের সম্ভবনা বিশাল। এখণ বেসিসের এক হাজার ৮০০ মেম্বার। দশ বছর পর যদি আঠারো হাজার মেম্বার হয় তাহলেও প্রত্যেকের কাজ করার ভালো সুযোগ আছে।

প্রশ্ন : আপনার নেতৃত্বে প্যানেলের স্লোগান ‘সবকিছুর কেন্দ্রে সদস্যরা, একসঙ্গে গর্জাবো আমরা’। স্লোগানটির বেছে নেওয়ার কারণ কী?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: বেসিস মূলত ইন্ড্রাস্ট্রিজ লবি অর্গানাইজেশন। এই সংগঠনটা হচ্ছে মেম্বারদের জন্য, কার্যনির্বাহী কমিটির না। বেসিস হলো সকল সদস্যের। কারণ বেসিস ইন্ড্রাস্ট্রিজ লবি করবে। সদস্যদের ঘিরে সব কার্যক্রম। আগেও আমরা করেছি। এখনও করছি। আবার একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, বেসিস কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান না। বেসিস আইটি ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান। বেসিস নিজে কোনো ব্যবসা করবে না। বেসিস হলো একটা পাবলিক অর্গানাইজেশন। এখানে সারাদেশের সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেসের ব্যবসা যারা তারেই সদস্য পদ নিতে পারবে। এটা ব্যবসা করার জায়গা না। মেম্বারদের জন্য ব্যবসার পথ সুগম করা বেসিসের দায়িত্ব। কিন্তু ব্যবসা করা বেসিসের দায়িত্ব না।

প্রশ্ন : এবারের বেসিস নির্বাচন তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: শুধু নির্বাচন না, সংগঠন হিসেবে বেসিস তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অন্য যে সংগঠনগুলো আছে বিসিএস, আইএসপিবিএ, বাক্য, ই-ক্যাব এদেরও অবশ্যই ভুমিকা আছে। যেহেতু বেসিস কাজ করে সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিস নিয়ে। এবং এটা হচ্ছে সব কিছুর কেন্দ্র। এ কারণে বেসিসের গুরুত্বটা একটু অন্যভাবে আসে। সরকারও সেটা অনুধাবন করে। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস রপ্তানি করার সুযোগ অনেক বেশি। হার্ডওয়্যাকেরও রপ্তানির সুযোগ আছে। সেটার প্রতিযোগিতা আরও বেশি। আর সেটা অনেক বেশি পরিমান না করতে পারলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকা কঠিন। সফটওয়্যার সার্ভিস কিন্তু আমি একটা তিন জনের কোম্পানি দিয়েও করতে পারি। ব্লকচেইক কোম্পানি তিনজন মানুষ দিয়ে চালানো সম্ভব । সেটা হার্ডওয়্যাকের ক্ষেত্রে করা সম্ভব না। আমি যদি মোবাইল ফোনের কোম্পানি করতে চাই সেটা কয়েক লাখ উৎপাদন না করলে লাভ করা সম্ভব না। তাই আমাদের চিন্তা করতে হবে সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেসে নিয়ে। কারণ এ সেক্টরে আমাদের সম্ভবনা বেশি। সে জন্য বেসিসের গুরুত্বটা অনেক বেশি। একই সঙ্গে বলা রাখা ভালো আমাদের হার্ডওয়্যাক ও ই-কর্মাস সেক্টরকেও সমান তালে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের মূল কেন্দ্রে রয়েছে সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস। তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে হচ্ছে সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসেস।

প্রশ্ন : ‘সিনার্জি স্কোয়াড’ কে বেসিসের নেতৃত্বে কেনো দরকার?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: ‘সিনার্জি স্কোয়াড’ এর মানে হলো অনেকে মিলে অনেক বেশি শক্তি তৈরি হয়। সেই রকমের একটা সিনার্জি তৈরি করার জন্য আমাদের প্যানেলের নাম দিয়েছি ‘সিনার্জি স্কোয়াড’। আমাদের সঙ্গে বেসিসের নতুন মেম্বারও আছে। যে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিলে আইওটির কাজ করছে। যার বয়স ৩০ বছরের নিচে। আবার আমার মতো বয়স্ক অভিজ্ঞ লোকও আছে। ৩৬ বছর ধরে আইটি সেক্টের আমি কাজ করছি। আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এমন কোম্পানিও আছে। আবার আমাদের কনভেনশনার সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে তেমন কোম্পানিও আছে। আবার বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও নিয়ে কাজ করছে এমন কোম্পানিও আছে। আন্তজার্তিক বাজারে রপ্তানি করছে এমন কোম্পানিও আছে। বিপিও সেক্টরে সফল মহিলা উদ্যোক্তা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে যারা কাজ করছে তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। সফটওয়্যার পোডাক্ট নিয়ে যারা কাজ করছে তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমাদের টিমটা ওয়েল ব্যালেন্স টিম। যারা প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্রে সফল। এবং তারা প্রত্যেকে বেসিসে প্রচুর সময় দিয়েছে। ভলেন্টিয়ার সার্ভিস করার মানসিকতা রয়েছে আমাদের প্যানেলের সবার। আমরা যারা জিতে এসে বেসিসে থাকবো তারা কিন্তু সবাই ভলেন্টিয়ার সার্ভিসেই করবে। তাই যারা নির্বাচন করছে তাদের ভলেন্টিয়ার সার্ভিস করার মানসিকতা অবশ্যই থাকতে হবে। এটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরা প্রত্যেকে ভলেন্টিয়ার সার্ভিস করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবং দেওয়ার জন্য তারা সক্ষম এবং দেওয়ার মানসিকতা আছে। কমিটিতে সময় দিতে হলে তার কিন্তু ব্যবসার সময় থেকে বের করতে হবে। তাই এটা যার মানসিকতার মধ্যে আছে সে রকম মানুষ নিয়েই আমরা টিম গঠন করেছি।

প্রশ্ন : এবারের নির্বাচনী প্রচারণার ভোটারদের প্রতিক্রিয়া কেমন?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: আমরা তো খুবই পজেটিভ প্রতিক্রয়া পাচ্ছি। সত্যিকার অর্থে আমি অভিভূত। আমার একটা ভয় ছিলো যেহেতু আমি গত ১২ বছর ধরে সরাসরি বেসিসের সঙ্গে যুক্ত নই। বোর্ড লেভেলে জড়িত না। আমি অবশ্য বিহাইন্ড দ্যা সিন পলিসি লেভেলে সাহায্য করেছি। ঐভাবে আমি বেসিসের অনুষ্ঠানগুলোতে ছিলাম না। যারা গত ১২ বছরের মেম্বার হয়েছে তারা তো আমাকে দেখি নাই। তারা আমাকে সেভাবে চিনবে না এবং আমার সম্পর্কে জানবে না। প্রচারণার সময় আমি দেখেছি তরুণ মেম্বাররা নির্বাচন নিয়ে বেশি আগ্রহ। আমি আবার ফিরে আসতেছি এটা শুনে তারাই বেশি এক্সসাইটেড। এটা আমাকে অভিভূত করেছে। গত ১২ বছরে যারা বেসিসের মেম্বার হয়েছে তারা কিন্তু ৫০ শতাংশ। আগামী ৫ বছরে দেখা যাবে বেসিসে নতুন মেম্বারদের সংখ্যাই ৩ ভাগের ২ ভাগ। এরাই কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিজের ভবিষ্যৎ। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এরা অনেক বেশি পটেনশিয়াল। তাদের কর্মউদ্দিপনা এবং সাহস অনেক। তরুণ ও নতুন মেম্বারদের মধ্যে কোনো ভয় নাই। তারা বিশ্বের কোনো বাজারকে ভয় পায় না। আমাদের ব্যবসা শুরু করার সময় কিন্তু একটা ভয় ছিলো। ৯৭/৯৮ সালে আমরা যখন শুরু করি তখন ভারতে কোম্পানিকে ভয় পেতাম। উন্নত দেশের কোম্পানিকে ভয় পেতাম। মনে হতো তারা আমাদের থেকে অনেক বড়। কিন্তু নতুন প্রজম্মের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভয় জিনিসটা দেখি নাই। এটা আমি মনে করি অনেক বড় একটি পাওয়া।

প্রশ্ন: বিশ্বদুয়ারে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: ২০০৮ সালে আমরা যখন আইসিটি পলিসি রিভিউ করা সুযোগ পেলাম জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে। তখন আমি ওয়ার্কিং কমিটির দায়িত্ব পেয়েছিলাম। সেখানে আমার সম্পূর্ণ নতুন একটা আইসিটি পলিসি তৈরি করি। সেখানে আমরা একটা পিরামিড কাঠামো দিয়ে ১০টা অপজেটিভ ও ৫৬টা স্টাডিজিক এরিয়া ঠিক করি। এবং ৩০০ টার বেশি ওয়ার্ক প্লান তৈরি করি। পিরামিড কাঠামোটি এখন পর্যন্ত আইসিটিতে ফলো করা হয়। ২০০৮ সালে তৈরি করে দেওয়ার পর ২০০৯ সালে এই সরকার গ্রহণ করে। আমি মনে করি এটা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ভালো একটা আইসিটি পলিসি। আমাদের দেশের আইসিটি পলিসি কিন্তু অনেক দেশে অনুকরণ করে। এই আইসিটি পলিসির মধ্যে আমরা একটা ভিশনটা দিয়েছি। সেখানে বলা হয়েছিলো আইসিটির টুল ব্যবহার করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটা উন্নত দেশে পরিণত হবো। এটা কিন্তু সরকার লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে, এই লক্ষ্যমাত্রা কিন্তু পূরণ করা হয়েছে। সারা বিশ্বের কাছে কিন্ত বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। আজকে বাংলাদেশেকে কেউ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে না। আইটির কারণে আমরা দেশ হিসেবে বিশ্বের মাঝে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ব মানচিত্রে আমরা অবস্থান করে নিয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমার একটি উন্নতি জাতিতে পরিণত হবো। প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে চাই এমন বাংলাদেশ যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা একটা উন্নত দেশে পরিণত হয়েছি। যেখানে আমাদের প্রতিটি নাগরিক সুযোগ ও সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবে। এখানে যেনো কেউ পিছিয়ে না থাকে। প্রযু্ক্তি ব্যবহার করে গুটি কয়েক মানুষ এগিয়ে যাবে আর বেশি ভাগ মানুষ পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে পারে না। এবং সেই বাংলাদেশ আমরা চাই না। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করবে এবং সেটা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত উন্নতি সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় ভাবে উন্নতি নিশ্চিত করবে।

প্রশ্ন: ভোটারদের প্রতি আহবান?

হাবিবুল্লাহ এন করিম: ভোটারদের সঙ্গে আমার সংযুক্ত হবো, সম্পৃক্ত হবো। যা ভোটার হতে পারে নাই তাদের সঙ্গেও আমরা আছি। বেসিস আপনাদের সকলের সংগঠন। সুতারং সবাই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। সবাই হয়তো সমান ভাবে সময় দিতে পারবে না। যে যতটুকু সময় নিতে পারেন, আপনারা এগিয়ে আসেন। আপনাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানান। আপনাদের সাফল্যগুলো আমাদের বলেন। সাফল্যের গল্পগুলো আমরা যেনো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের প্রচুর সাফল্য রয়েছে। সেগুলো দেখে বা শুনে অনুপ্রেণিত হবে মানুষ। এটা আমাদের ভালোভাবে প্রচার করতে হবে। বাংলাদেশের অনেক প্রজেক্ট যেটা বিদেশিরা করে সেগুলো মুখথুবরে পরে থাকে। দেশিয় কোম্পানি যখণ সে কাজগুলো করে সেগুলো ৭০/৮০ ভাগ ক্ষেত্রে সফল হয়। এবং সেটা অনেক কম খরচে করা যায়। আমাদের লোকাল কোম্পানি এ সাফল্যগুলো আমরা তুলে ধরতে চাই সারাবিশ্বের মানুষের কাছে। আমরা বেসিসের সব সদস্যের সঙ্গে ভাগ ভাগ করে বসতে চাই। যে যেই ক্ষেত্রে দক্ষ সেগুলো নিয়ে সদস্যদের সাহায্য করা যায় সেটা আমার শুনবো। বেসিস যে মেম্বারদের সংগঠন এটা যেনো সবাই বুঝতে পারে। বেসিস শুধু একটা ইলেকশন করেই বসে থাকবে না। তাদের যে কোনো পরিস্থিতিতে সদস্যদের পাশে থাকবে। তাই যারা বেসিসের জন্য, বেসিস সদস্যদের জন্য কাজ করবে তাদের ভোট দিন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন