সফলতার সঙ্গে জাপান আইটি উইকে প্রতিনিধিত্ব করছে বাক্কোর সদস্যরা

সফলতার সঙ্গে জাপান আইটি উইকে প্রতিনিধিত্ব করছে বাক্কোর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো
সফলতার সঙ্গে জাপান আইটি উইকে প্রতিনিধিত্ব করছে বাক্কোর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: তথ্য প্রযুক্তির জগতে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে জাপান আইটি উইক অন্যতম। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরে প্রতিবছরই তথ্য প্রযুক্তির এই শিল্পমেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর জাপান আইটি উইকে বাংলাদেশ থেকে আইটি প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে, এবং বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং তাদের ছয়টি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে এ শিল্পমেলায়। 

২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, তিন দিনব্যাপী টোকিও, বিগ সাইটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলাটি। আজ প্রথমদিনে, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ একে অপরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক মতবিনিময় করেন, এবং তুলে ধরেন নিজ নিজ দেশের পণ্য ও সেবাসমূহ। এছাড়াও, মেলার অংশ হিসেবে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংক-এর সিওও রেজওয়ানুর কবির। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ, এনডিসি। সেমিনারে বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার গুরুত্ব সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন এবং দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির সমূহ সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল পাওয়ার হাউজে রূপান্তরিত করার যে পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরে যে সকল প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রয়োজন তা অর্জনে করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেট, ব্যাক অফিসের মত নন ভয়েজ কাজগুলো জাপান মার্কেটে রপ্তানি করে আসছে বাক্কো সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা আশা করছি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভবিষ্যতে  তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে”। এছাড়াও মেলায় সারা বিশ্ব হতে আগত বহুসংখ্যক কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করে উপস্থাপিত সেবা সমূহের বিষয়ে জানতে পেরে চমৎকৃত হয়েছেন এবং এ-সকল সেবা গ্রহণে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। 

বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনের নেতৃত্ব এবং সার্বিক দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির এ মেলায় অংশগ্রহণকারী বাক্কোর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, ফিফোটেক, অডিন আউটসোর্সিং, ইগনাইট টেক সল্যুশনস, সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড, ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি, এবং এস টি রিলায়েন্স অ্যাসোসিয়েটস। অংশগ্রহণকারী এ ছয়টি কোম্পানি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিপিও কোম্পানি হিসেবে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে এবং সকল প্রতিনিধিগণ জাপান আইটি উইকের মতো একটি বৈশ্বিক মঞ্চে নিজ দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের সাফল্য ও অগ্রগতি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। দলটির সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বাক্কোর সাবেক পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।

জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আউটসোর্সিং হাব, এবং জাপান আইটি উইক, স্প্রিং, ২০২৪ –এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে জাপানের বাজার সম্ভাবনার প্রতি দেশীয় ব্যবসায়ীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহেরই ইঙ্গিত দেয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাক্কো দেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের জন্য একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের “স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১”- লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অসংখ্য কাজ করে চলেছে, জাপান আইটি উইকও তার মধ্যে একটি। এ শিল্প প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে সম্ভাব্য ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে, যার ফলে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও হয়েছে জোরদার।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন