ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের ৪৮০০ একাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের ভুয়া ৪৮০০ একাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা
ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের ভুয়া ৪৮০০ একাউন্ট বন্ধ করেছে মেটা

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: চীনের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ৪৮০০ ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। এসব একাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনা প্রভাব ফেলার মতো অপপ্রচার ও পক্ষপাতদুষ্ট পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ টেক জায়ান্টটির। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

মেটা জানিয়েছে, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এতো আগেই চীনের কিছু ভুয়া একাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও চীন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ইংরেজিতে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল।

মূলত চলতি বছরের জুনের পর থেকেই এই অপপ্রচার শুরু করেছে চীনের একটি মহল। এ নিয়ে তদন্তের পর বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মেটা। একইসঙ্গে একাউন্ট শনাক্তের পর সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হলো।

মেটা বলেছে, এসব ভুয়া পোস্টের নেপথ্যের মানুষগুলো এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে কিছু পক্ষপাতদুষ্ট পোস্টও কাট-পেস্ট করে ফেসবুকে দিয়েছে। এসব পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের লিবারেল ও কনজারভেটিভ উভয় ধারার রাজনীতিকে সমালোচনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মার্কিন রাজনীতিবিদদের কিছু প্রকৃত পোস্টও একাউন্টগুলোতে শেয়ার করা হয়েছে।

প্রযুক্তি সংস্থাটি আরও বলেছে, এই কৌশল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে নাকি এই রাজনীতিবিদদের সমর্থকদের মধ্যে জায়গা করে নিতে চেষ্টা করা হয়েছে, সেটি স্পষ্ট নয়।

যদিও এসব কারণে মেটা চীনা সরকার বা চীনের অন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দায়ী করেনি। তবে এমন সময়ে এসে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যখন আগামী নির্বাচনে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন ও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর সেজন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

এ নিয়ে পরবর্তীতে মার্কিন সিনেট এবং বিশেষ কাউন্সেলের রিপোর্টেও দেখা গেছে, বিশেষ করে অভিযুক্ত রাশিয়া ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চালাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে বিভাজনের বীজ বপন করার চেষ্টা করেছে।

এবারও তেমনই চেষ্টা করছে কিছু মহল। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি গত সেপ্টেম্বরে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংহতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা নষ্ট করতে বিদেশি শত্রুরা ততই ক্রমবর্ধমানভাবে নতুন প্রযুক্তি বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন