টেকভিশন২৪ ডেস্ক: এফবিসিসিআই উপদেষ্টা ও বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর তিন বছরের কর অব্যাহতি এবং এক্সটেনশনকে স্বাগত জানান। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। তাহলে বিনিয়োগকারীরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হতো।
দ্বিতীয়ত, নতুন যে সাব-সেক্টরগুলো যোগ করা হয়েছে যেমন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স, সাস, ডেটা সায়েন্স, সেগুলো ইন্ডাস্ট্রি-বান্ধব। কারণ নতুন প্রযুক্তি আমাদের উৎসাহিত করতে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু একই সাথে, NTTN বাদ দেওয়াটা আমাদের নিরুৎসাহিত করবে। আমরা যে অবকাঠামো তৈরি করছি, তার খরচ বেড়ে যাবে। অবকাঠামোর খরচ বেড়ে গেলে, আমাদের ইন্টারনেট এবং ডেটা সংযোগের বিস্তৃতি আগের থেকে কমে যাবে।
একইভাবে, আইটি প্রোসেস আউটসোর্সিং, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন – এই সেক্টরগুলোতে আমরা প্রচুর পরিমাণে পরিষেবা রপ্তানি করি। এসবের উপর ট্যাক্স অব্যাহতি না থাকলে খরচ বেড়ে যাবে, ফলে রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতার সামর্থ্য হারাবে এবং আমাদের রপ্তানি কমে যাবে। আমাদের যে ৫ বিলিয়ন ডলার টার্গেট রয়েছে, তা অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে।
ওয়েব হোস্টিং এবং ক্লাউড সার্ভিসের উপর ট্যাক্স অব্যাহতি কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। এগুলো দিয়ে আমরা আমাদের দেশে ডেটা সেন্টার ব্যবসা উন্নীত করতে চাইছি। যদি এগুলোর উপর ট্যাক্স অব্যাহতি না থাকে, তাহলে দেশের হোস্টিং এবং ডেটা সেন্টারের খরচ বেড়ে যাবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে হোস্ট করার চিন্তা করবে। আমরা যে ডেটা লোকালাইজেশন এবং ডেটা সেন্টারের বিস্তার চাইছি- তা বাধাগ্রস্ত হবে।
এছাড়া, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের উপর ট্যাক্স অব্যাহতি না থাকলে, বিদেশি কোম্পানিগুলো যেমন ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম থেকে এসে আমাদের দেশে এই কাজগুলো করবে। আমরা যদি লোকাল কোম্পানিকে দিয়ে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন কাজ করাতে চাই এবং তাদেরকে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে চাই, তাহলে অবশ্যই সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনকে কর অব্যাহতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।