কর্মী হয়রানি ও বকেয়া পরিশোধ না করায় অপো বাংলাদেশের এমডিসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

টেকভিশন২৪ প্রতিবেদক: কর্মক্ষেত্রে হয়রানি এবং যৌন পীড়নের অভিযোগ উঠেছে অপো বাংলাদেশের এমডিসহ শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আর এই উকিল নোটিশ করেছেন তাদেরই বাংলাদেশি এক সহকর্মী (বর্তমানে সাবেক), যিনি অপো বাংলাদেশের পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার, ব্র্যান্ডিং ছিলেন।

যিনি ২০২১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন ইক্যুপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (অপো) এবং পাঁচ কর্মকর্তাকে আইনি নোটিসও বেতন বোনাস সহ মোট ১০ লাখ টাকার বেশি বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়েও অভিযোগ  দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার হাফিজুর রহমান খান অভিযোগকারীর পক্ষে ওই নোটিস পাঠান। কিন্তু আজ পর্যন্ত অভিযোগকারী কোনো বিচার পাননি বরং নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন, অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার এলেক্স, হিউম্যান রিসোর্স এবং এডমিন ডিজিএম মোসাম্মৎ সুরাইয়া আক্তার, প্লানিং/ব্র্যান্ডিং ম্যানেজার উইদার এবং অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার ব্র্যান্ডিং জাফরুল আবেদিন রকি। এরমধ্যে উইদার চাকরি চলে চায়না ফিরে গেছেন। আর সুরাইয়া আক্তারও চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, যাকে নিয়ে শুধু দাপ্তরিক অসহযোগিতার অভিযোগ তার।

আআইনি নোটিস এর অংশবিশেষ

অভিযোগকারী নোটিসে তাকে যৌন পীড়ন এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানি করার জন্য উল্লেখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ চান। সেখানে তিনি অপোর কাছে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনার বিষয়েও ছাড়পত্র চান। নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা চান। এছাড়া নোটিসে তিনি বলেন, তার চরিত্র হননের চেষ্টায় অপপ্রচার বা গুজব চালানো হচ্ছে, যে বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগকারী ওই কর্মকর্তা বলেন, অনেক চেষ্টার পরও আমি বিচার পাইনি, পাওনাও পাইনি। নতুন চাকরিতে যোগদানের পর বিষয়টি নিয়ে আর এগুতে পারিনি । কিন্তু আমি বিচার চাই।

তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে অনেক অনিয়ম-দূর্নীতি রয়েছে। বাংলাদেশে তারা অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত । তারা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে, মানি লন্ডারিং করছে- এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

যৌন হয়রানির অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অপো বাংলাদেশের কাছে জানতে চাওয়া হয়। অপো বাংলাদেশের পক্ষে ব্লাকবোর্ড স্ট্র্যাটেজিস এশিয়াটিক ৩৬০ জবাব দেয়। যেখানে অনেক অভিযোগের মাধ্য দুটি বিষয়ে আংশিক উল্লেখ থাকলেও এ যৌন হয়রানির বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।

এতে দেখা যায়, অপোর মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে দেশেই অপো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে সেখানকার দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রতিটি অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষার্থে অপো সব সময় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে’। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান খান জানান, এই যৌন হয়রানির ও নোটিশে ভুক্তভোগী উল্লেখিত বেতন বোনাস সহ মোট ১০ লাখ টাকার বেশি পাওয়া রয়েছে অপো বাংলাদেশ কোম্পানির কাছে। অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার অনেক চেষ্টা করেছে অপো। প্রতিষ্ঠানটির উচিত ছিলো ব্যবস্হা নেয়ার কিন্তু তারা তা করেনি। বিদেশি একটি কোম্পানি দেশে এমন কার্যাকলাপ তো গ্রহণযোগ্য নয়।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন