ইলন মাস্ক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি টিকটক অধিগ্রহণে আগ্রহী নন।
জানুয়ারির ২৮ তারিখে ওয়েল্ট ইকোনমিক সামিটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি টিকটক কেনার জন্য মুখিয়ে নেই।” যদিও সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইটড্যান্স-কে টিকটক বিক্রি করতে বাধ্য করার আইন স্থগিত করেছিলেন, এবং গুঞ্জন ছিল যে, চীন সরকার মাস্ককে ক্রেতা হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এমনকি ট্রাম্পও বলেছিলেন, মাস্ক বা ওরাকল চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন যদি টিকটক কিনে নেন, তবে তিনি তা পছন্দ করবেন।
কিন্তু মাস্ক এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমি টিকটকের জন্য কোনো বিড করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার যদি টিকটক থাকত, তবে আমি প্রথমেই এর অ্যালগরিদম বিশ্লেষণ করতাম। এটি কীভাবে কাজ করে এবং এটিকে মানবতার জন্য আরও উপযোগী করা সম্ভব কি না, সেটাই দেখতে চাইতাম।” তবে তিনি স্বীকার করেন যে, “আমি ব্যক্তিগতভাবে টিকটক ব্যবহার করি না এবং এটি সম্পর্কে খুব বেশি জানিও না।”
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, টুইটার (বর্তমানে এক্স) কেনা তার ক্যারিয়ারে ব্যতিক্রমী একটি সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ তিনি সাধারণত নতুন কোম্পানি তৈরি করতেই পছন্দ করেন।
এই সাক্ষাৎকারের প্রথম ২০ মিনিট মূলত ট্রাম্প প্রশাসনে তার “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ)” পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। মাস্ক ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ওপর প্রভাব বিস্তার করছেন এবং বিপুল পরিমাণ সংবেদনশীল তথ্যের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ