টেকভিশন২৪ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পেনসিলভানিয়ায় ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের এক প্রচারণায় এ মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম অস্ত্র অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য। অভিবাসীদের ‘দখলদার ও অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। এমনকি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে সমর্থনের বার্তাও দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
তবে ইলন মাস্ককে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনে এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘বিশ্বের ওই ধনকুবের এককালে অবৈধ কর্মী ছিলেন যখন তিনি এখানে ছিলেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি যখন স্টুডেন্ট ভিসায় এখানে এসেছিলেন তখন তার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেসময় পড়ালেখায় না থেকে আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯৯০ এর দশকে একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কিছুদিনের জন্য অবৈধভাবে কাজ করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ইলন মাস্ক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পালো-আলটো শহরে এসেছিলেন মাস্ক। তবে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি না হয়ে নিজের সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ টু’ গড়ে তোলায় মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। চার বছর পর প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়।
অভিবাসী আইনে পারদর্শী দুই বিশেষজ্ঞের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হলেই শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধভাবে কাজের অনুমতি পেতে পারতেন মাস্ক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে বাইডেনের ওই বক্তব্য শেয়ার করা পোস্টকে রিপোস্ট করে ইলন মাস্ক লিখেছেন, তাহলে তিনি (বাইডেন) এখন অবৈধ নিয়ে সোচ্চার।