টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশে স্থাপিত কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন শুরু করতে যাচ্ছে এক সময়ের ফোনের বাজার কাঁপানো নোকিয়া।
বাংলাদেশে দুটি মডেলের স্মার্টফোন সংযোজনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরুতে করতে যাচ্ছে নোকিয়া।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে তৈরি নোকিয়ার ফোন বাজারে ছাড়ার অভাস দিলেন এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশের বিজনেস প্রধান ফারহান রশিদ। তিনি টেকভিশন২৪ কে বলেন, সিএমপিএল এখনো সঠিক দিনক্ষন ঠিক করতে পারেনি। তারা বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে তবে কবে নাগাদ অনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা আশা করছি ঈদের পর পরই বাজারে ছাড়তে পারবো বলে জানান ফারহান রশিদ।
ইউনিয়ন গ্রুপের মোবাইল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশনের সিএমপিএল কোম্পানি দেশে দীর্ঘদিন ধরে নোকিয়ার আমদানি ও ডিস্ট্রিবিউশন করে আসছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজলায় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৫ নম্বর ব্লকে ৫ একর জায়গা বরাদ্ধ নিয়েছে সেই ২০১৭ সালের ২৪ মে। ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড এই বরাদ্দ নেয়, এটি যুক্তরাজ্যের ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার এবং বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ।
তখন ভাইব্র্যান্ট ৪৫ মিলিয়ন ডলার বা বর্তমান হিসেবে ৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগের উল্লেখ করেছিলো। যেখানে সাইবার সিটি, ডেটা সেন্টার, মোবাইল এবং স্মার্ট ডিভাইসসহ এটিএম কার্ড, স্মার্টকার্ডসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কথা জানিয়েছিলো।
কারখানার অবকাঠামোগত স্থাপনা এগিয়ে রখালেও নানা জটিলতায় এতোদিন হ্যান্ডসেট উৎপাদনে যেতে পারেনি তারা। আমদানি করা যায়নি কারখানার যন্ত্রপাতিসহ হ্যান্ডসেটের যন্ত্রাংশও।
নোকিয়া মোবাইল প্রযুক্তির রূপান্তরের প্রতিযোগিতায় সম্রাজ্য হারিয়ে ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। বছর দু’য়েকের মধ্যে ফিনল্যান্ডের কোম্পানি এইচএমডি গ্লোবাল নোকিয়া হতে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মাইক্রোসফট হতে ব্যবসা কিনে নেয়। ২০১৬ সালের শেষ দিকে নোকিয়ার নামে ফিচার ফোন এবং এক বছর পরে স্মার্টফোনও আনতে শুরু করে তারা।
দেশে কারখানা স্থাপন করে ২০১৮ সালে সংযোজিত হ্যান্ডসেট বাজারে এনেছে ওয়ালটন, সিম্ফনি, স্যামসাং, আইটেল-ট্র্যানসান ও ফাইভস্টার।
এরপর লাভা, ওকে মোবাইল, উইনস্টার, ভিভো, অপো, রিয়েলমি দেশে কারখানা করে। এছাড়া শাওমি ব্র্যান্ড ও দেশে কারখানার করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।