সকল ক্রয়কারী সংস্থার ই- জিপিতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক

সকল ক্রয়কারী সংস্থার ই- জিপিতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক
সকল ক্রয়কারী সংস্থার ই- জিপিতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: সরকারি সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ই-জিপি’র মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ সকল সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক। বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ শোহেলের রহমান চৌধুরী ৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে ঢাকায় বিপিপিএ কনফারেন্স কক্ষে ডাইম্যাপ প্রকল্পের আওতায় বিপিপিএ’র যোগাযোগ ও প্রচার বিষয়ক এক সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন দেশে সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার সংখ্যা প্রায় ১৬০০। ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে ৪ মার্চ ২০২৪ পর্যম্ত নিবন্ধিত ক্রয়কারী সংস্থার সংখ্যা ১৪৫৬। বাকী সংস্থাগুলো যাতে দ্রুত ই-জিপি সিস্টেমে যুক্ত হয় সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), যা পূর্বতন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) হিসেবে সমধিক পরিচিত।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), আইন ২০২৩ এর আওতায় ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সিপিটিইউ বিপিপিএ তে রূপান্তরিত হয়েছে। বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), মোঃ শোহেলের রহমান চৌধুরী জানান সরকারি সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ই-জিপি’র মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ সকল সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।

যে সব সংস্থা এখনও ই-জিপিতে নিবন্ধন করেনি তাদেরকে দ্রুত এ সিস্টেমে যুক্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি বাস্তবায়ণের সুফল ক্রয়কারী ও দরদাতা সহ সকল অংশীজনই লাভ করছে। সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের ফলে দরপত্র জমাদান ও প্রক্রিয়াকরণের সব ঝুট ঝামেলার অবসান হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বেড়েছে।

যে সংস্থাগুলো এখনও ই- জিপিতে যুক্ত হয় নাই বিপিপিএ ইতোমধ্যে তাদেরকে চিঠি দিয়েছে। বিপিপিএ ওয়েবসাইটেও এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে:

  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ“ বাস্তবায়ন এবং সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-জিপি’র পূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি।
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ১২৪ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি ক্রয়ে সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধীন অফিসসমূহের ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক।
  • ০৬ আগস্ট ২০১৫ তারিখে “ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স” -এর সভায় সরকারি ক্রয়ে সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধীন অফিসসমূহের ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
  • ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত ৪.৪ অনুযায়ী সকল ক্রয়কারী সংস্থার ই-জিপিতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক।

এমতাবস্থায়, সকল ক্রয়কারী সংস্থাকে ই-জিপি’র মাধ্যমে টেন্ডার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। সহযোগিতার জন্য ই-জিপি হেল্পডেস্ক ১৬৫৭৫-এ কল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেমটি এনআইডি, iBAS++ ও  আইএমইডি’র ইলেকট্রনিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম (ই-পিএমআইএস)-এর সংগে সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন কিছু ফিচার ই-জিপিতে যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ইলেকট্রনিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (ই-সিএমএস), আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র (আইসিটি), ই-অডিট মডিউল, অটোমেটেড চালান (এ-চালান), সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি এবং পেশাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সেবা।

২০১১ সালের ২ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। ২০১২ থেকে ৪ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৭,৮৫,৯৯৭টি দরপত্র ই-জিপি’র মাধ্যমে আহ্বান করা হয়েছে যার মোট মূল্য ৮২২,৫৯৮কোটি টাকা। এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি দরদাতা ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি ক্রয়ে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক বিপিপিএ কে সহায়তা করেছে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন