ফ্ল্যাশ লাইট বনাম রিং লাইট: কোনটি বেশি উপযোগী?

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে রিং লাইট এবং সিঙ্গেল পয়েন্ট ফ্ল্যাশ লাইটের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কার্যকারিতার দিক থেকে এই দুই ধরনের আলোক উৎসই ছবিকে প্রাণবন্ত করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এরা ছবির বিষয়বস্তুকেও আলোকিত করে। তবে যে উৎসটি বেছে নেওয়া হবে তার প্রভাব থাকবে ছবির মানের ওপর।

সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের স্মার্ট এবং হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো এই রিং লাইট সম্পর্কিত আলোচনা আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। ১৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে থাকা এই স্মার্টফোনগুলোতে আছে প্রয়োজনীয় সবকিছুই। পাঞ্চহোল ডিসপ্লে, ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাথে ফোনগুলো দেবে ছবি তোলায় সুন্দর অভিজ্ঞতা।

এখন কথা হলো, ফ্ল্যাশ লাইট থেকে রিং লাইট কীভাবে আলাদা? স্মার্টফোনের রিং লাইটের বৃত্তাকার ডিজাইনের মধ্যে থাকে ছোট ছোট এলইডি বাল্ব। এই বাল্বগুলো এবং এদের সাজানোর ধরণ ছবিতে ছায়া কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে চেহারার সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ফুটে ওঠে। রিং লাইট চমৎকারভাবে ছবির বিষয়বস্তুগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। তাই, যারা স্মার্টফোনেই ভালো মানের ছবি তুলতে চান তাদের জন্য রিং লাইট খুবই কাজের।

প্রচলিত ফ্ল্যাশলাইটগুলো ছবিতে যে ছায়া ফেলে, তা স্পষ্ট ও প্রকট। ফলে এটি চেহারার সূক্ষ্ম বিষয়গুলোকে ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না। অন্যদিকে রিং লাইট আলোকে আরও বেশি বিচ্ছুরিত করে, যা ছবির সামগ্রিক নান্দনিকতাকে বাড়িয়ে তোলে। রিং লাইট ফটোগ্রাফির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো স্পষ্ট ও নিখুঁত পোর্ট্রেট। এর মাধ্যমে ম্যাক্রো শটগুলোতেও সূক্ষ্ম বিষয়গুলো তুলে ধরা যায়। এছাড়াও ল্যান্ডস্কেপ শটে রিং লাইট যোগ করে একটি নরম আভা। এর ফলে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফাররা বাড়তি ঝামেলা এবং ভারী সরঞ্জাম ছাড়াই তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবেন৷

সব মিলিয়ে বলা যায়, রিং ফ্ল্যাশ লাইট এখন সিঙ্গেল পয়েন্ট ফ্ল্যাশ লাইটের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। কারণ, রিং লাইট বিচ্ছুরিত ও নরম আলো দিয়ে ছবিকে আরও উন্নত করে তোলে এবং ফটোগ্রাফিতে যোগ করে নতুন মাত্রা। ছবি হয় সুন্দর ও আলোকিত। ফলে ব্যবহারকারীদের কাছে রিং লাইট আরও ফটোগ্রাফি সহায়ক হচ্ছে।

ইনফিনিক্স:  

ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।

“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণ মানের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।       

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন