দেশের গন্ডি পেরিয়ে “ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্সের” চার দুঃসাহসীর পথচলা

ঘোস্ট হান্টার এর চার সদস্য মোঃ আবু নাঈম সাকি, আবির হোসেন জনি, মোঃ সুজন ইসলাম আলিফ, মিলন হাওলাদার।

টেকভিশন২৪ প্রতিবেদক: ছোট বেলায় বড়দের মুখে ভুতের গল্প শুনতে সবাই খুব ভালো লাগতো। কিন্তু ভালোলাগার পাশাপাশি ভয়ে আঁতকেও উঠতাম। রেডিওতে এক সময় ভুত এফএম দিতো, হাজারো, লক্ষ মানুষ আমরা ভুত এফএম শুনতাম। কিন্তু শোনার থেকেও দেখার প্রতি আমাদের একটা আকাঙ্খা থেকেই যেতো সব সময়। আর আমাদের এই আকাঙ্খা পূরনের জন্যেই বোধহয় “ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্স” এর পথচলা শুরু।

দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে আমরা অনেকেই “ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্সের” সাথে পরিচিত হই। 

ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্স এর লোগো।

ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্সের প্রথম লাইভ শুরু করে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে ১০০টার অধিক লাইভ করেছে। সম্প্রতি ভারতীয় একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দুটো লাইভ অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়েছি। এই লাইভ অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে মানুষিক শারীরিক, পারিবারিক‌ ও‌ অর্থনৈতিক নানান‌ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি বলে টেকভিশন২৪ কে জানান, টিমের এডমিন আবু নাঈম সাকি।

তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা‌ হচ্ছে সারা বিশ্বের মতো আমাদের টিমটাও যেন স্বীকৃতি পায় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে পারি এবং মানুষকে প্যারানরমাল জগতটা আসলে কি সেটা চেনাতে ও এইসব বিষয় নিয়ে অনেক মানুষ অনেক ধোকাতে পড়েছে ওইগুলা থেকে মানুষকে ফেরাতে পারি।

আবু নাঈম সাকির দেশের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে, আবির হোসাইন জনির দেশের বাড়ি মানিকগঞ্জে হলেও তাদের দুজনেরই বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। এইসব কর্মকাণ্ডের জন্যে প্রথম দিকে পারিবারিক ভাবে নানান কথা শুনতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু ভুতুড়ে স্বাদের নেশায় আর সবার আকাশচুম্বী ভালোবাসার কারণে কোন কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

আবির হোসাইন জনি যাকে আমরা সবাই জনি ভাই হিসেবেই জানি। অনেকেই হয়তো বলছেন এতো কথা হলো কিন্তু জনি ভাই সম্পর্কে কেন কিছু বলছিনা! হ্যাঁ এই প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। কারণ ঘোস্ট হান্টারের অন্যতম প্রিয় একটি মুখ হচ্ছে এই আবির হোসাইন জনি। ওনার সাথে আবু নাঈম সাকির সম্পর্ক কি এবং কবে থেকে? এই প্রশ্নে তিনি আমাদের জানান, জনি ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় প্রায় ৮-৯ বছর থেকে। আমি নিজে একজন ব্যাবসায়ী আর জনি ভাই এবং আমি এক সাথেই ব্যবসা করছি।”

দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় তাদের এই লাইভ অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতে ভালো মানের আর্থিক সাপোর্টও প্রয়োজন হয়। যেহেতু এখান থেকে তাদের ব্যাবসায়িক কোন সমৃদ্ধির সুযোগ নেই এবং বিষয়টাকে তারা শখের বসেই চালিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটিকে চালিয়ে নিতে এএস আর এম স্টিল কোম্পানি তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাদের এই অলাভজনক উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজন রয়েছে।

সুতরাং ডিজিটাল মিডিয়ায় যারা ব্যবসার প্রচার-প্রচারনা করেন চাইলে আপনারা ঘোস্ট হান্টার ইনভেস্টিগেটর্সের সাথে যোগাযোগ করেত পারেন যার ফলে আপনার ব্যবসায়িক প্রচার-প্রচারনা সুযোগে তাদের টিমও কিছু আর্থিক ভাবে উপকৃত হতে পারে। ঘোস্ট হান্টার টিমের ফেসবুকের বর্তমান ফলোয়ার সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি এবং ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি।

 

 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন