ক্যাশ আউট খরচ কমায় বিকাশ গ্রাহকদের ইতিবাচক সাড়া

ছবি সংগৃহীত।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট : মাসের শুরুতে ছেলের কাছ থেকে সংসার খরচের টাকা পান চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার নুরুল আমিন। বিকাশে টাকা পেয়ে বাড়ির কাছের এজেন্টের কাছ থেকে ক্যাশ আউট করে নেন। ১৪.৯০ টাকা হারে ক্যাশ আউট করতে পারায় গত কয়েক মাস ধরে কিছু বাড়তি সাশ্রয় হচ্ছে তার।

বোনের কাছ থেকে পড়ার খরচ বিকাশে পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলিম হোসেন। আলিম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকেই এখন কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারছে।

আশুলিয়ার গার্মেন্টস কর্মী শাহানাও ক্যাশ আউট খরচ কমার সুফল পাচ্ছে। শাহানা বলে, “বিকাশে বেতন আসার পর প্রথম কাজটা হলো মা’কে টাকা পাঠানো। এখন মা বাড়ির পাশের এজেন্ট থেকে আরো কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারে। আমারও মাকে টাকা পাঠাতে কোন বাড়তি খরচ লাগে না। যখন প্রয়োজন তখনই কম খরচে মা টাকা পায় বলে ভাই-বোন নিয়ে বিপদে পড়ে না।”

শুধুমাত্র নুরুল আমিন, আলিম কিংবা শাহানা নয়, সারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এরকম বিকাশের পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ গ্রাহক ক্যাশ আউট চার্জ কমানোয় উপকৃত হচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী এজেন্ট নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য সুবিধা আরো সাশ্রয়ে উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

শাহানা, নুরুল আমিন এবং আলিম এর মত বিকাশের ৯৫ শতাংশ গ্রাহক তাদের নিকটস্থ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট সেবা নেন এবং টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। কোটি গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় রেখে ও একই সাথে টেকসই এজেন্ট নেটওয়ার্ক সমুন্নত রাখতে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন এই ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ করেছে বিকাশ।

নতুন পদ্ধতিতে বিকাশ গ্রাহকরা মাসে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভ্যাটসহ সব খরচ মিলিয়ে হাজারে ১৪.৯০ টাকা খরচে একটি প্রিয় এজেন্ট নম্বরে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। সেবাটি পেতে গ্রাহককে ক্যালেন্ডার মাস অনুযায়ী একজন বিকাশ এজেন্টকে ‘প্রিয় এজেন্ট’ হিসেবে যোগ করে নিতে হচ্ছে। ক্যালেন্ডার মাস শেষ হলে প্রয়োজনে ‘প্রিয় এজেন্ট’ নম্বর পরিবর্তনও করে নিতে পারছেন তিনি।

কেবল গ্রাহকরা নয়, ক্যাশ আউট চার্জ কমায় লাভবান হয়েছেন দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘হিউম্যান এটিএম’ হিসেবে পরিচিত বিকাশের সাড়ে ৪ লাখ এজেন্টও।

“গ্রাহকরা বেশ আগ্রহী হয়ে আমাদের কাছে আসছেন এবং প্রিয় নম্বর হিসেবে যুক্ত করে কম রেটে ক্যাশ আউট সেবা নিচ্ছেন”, বলছিলেন মেরুল বাড্ডা এলাকার বিকাশ এজেন্ট ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, “ক্যাশ আউট চার্জ কমলেও আমাদের লভ্যাংশ আগের মতোই থাকছে। সে হিসেবে নতুন ক্যাশ আউট রেট আমাদের জন্য ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক।”

এ বিষয়ে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, বিকাশ লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৯৫ শতাংশ গ্রাহকই মাসে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ক্যাশ আউট করে থাকেন। তাই বিকাশের প্রিয় এজেন্ট এ ক্যাশ আউট চার্জ কমার ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এমএফএস সেবা আরো সাশ্রয়ী হয়েছে। বিকাশ সব সময়ই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে গ্রাহক-বান্ধব এবং উদ্ভাবনী সেবা নিশ্চিত করে থাকে।

বিকাশের পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ গ্রাহকের সবাই ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারেন। প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকার চেয়ে বেশি ক্যাশ আউট করার ক্ষেত্রে হাজারে ১৮.৫০ টাকা ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য। ‘প্রিয় এজেন্ট’ ছাড়া অন্য এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে একই হারে চার্জ প্রযোজ্য। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ১৫০০টির বেশি এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময় প্রয়োজনমতো হাজারে ১৪.৯০ টাকায় ক্যাশ আউটের সুযোগও রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে বিকাশ। ডিজিটাল ইকোসিস্টেম যত বেশি সম্প্রসারিত হবে ক্যাশ আউটের উপর নির্ভরতাও তত কমে আসবে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন