টেকভিশন২৪ ডেস্ক: প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যৎ থাকবে সুপারকম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে। এদিক থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন (আইবিএম) অনেকটাই এগিয়েছে। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট কোয়ান্টম সুপারকম্পিউটার তৈরিতে প্রথম মাইলফলক স্পর্শ করার দাবি জানিয়েছে। আগামী এক দশকের মধ্যে কোম্পানিটি নিজস্ব কোয়ান্টাম সুপারকম্পিউটার তৈরির কথা জানিয়েছে। খবর টেকরাডার।
আয়রন ও সিলিকন এজের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে তার তুলনায় কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আরো বড় প্রভাব বিস্তার করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এটি দৈনন্দিন জীবনযাপন, প্রতিদিনের যাতায়াত ব্যবস্থাসহ সব দিকে পরিবর্তন আনবে। এটি ইভি খাতের জন্য ব্যাটারির সক্ষমতায় আরো পরিবর্তন আনবে। এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে আরো ভালো ও কার্যকর ওষুধ তৈরিতে সহায়তা করবে।
মাইক্রোসফটের বিশ্বাস কোয়ান্টাম সুপারকম্পিউটারগুলো সামগ্রিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য অনিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সমাধানে সহা্য়তা করবে। টেকক্রাঞ্চকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টা জানান, আমাদের রোডম্যাপ ও কোয়ান্টাম সুপারকম্পিউটার সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা সুদূরপ্রসারী।
আজুর কোয়ান্টাম এক্সিলারেটিং সায়েন্টিফিক ডিসকভারি ভার্চুয়াল ইভেন্টে প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, ‘আগামী ২৫০ বছরে রসায়নসহ ম্যাটারিয়াল সায়েন্স খাতের অগ্রগতিকে ২৫ বছরে নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ফিজিক্যাল কিউবিটে পরিচালিত কোয়ান্টাম সিস্টেমকে বর্তমানে আজুর কোয়ান্টামের মাধ্যমে ক্লাউডে নেয়া হয়েছে।
কোয়ান্টাম সুপারকম্পিউটার তৈরির অংশ হিসেবে আরো দুটি উদ্যোগ নিয়েছে মাইক্রোসফট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়েও নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতে সতর্ক মাইক্রোসফট।