টেকভিশন২৪ ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (SHIFT)’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্নের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ্, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী সন্তানদের আধুনিক ও স্মার্ট শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন ভবিষ্যত প্রজন্মমকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবচরের মাটিতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটে টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন পদ্মাসেতুর পর আজকে এখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি পার্ক হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদারীপুরের শিবচরে এই ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (শিফট) নির্মাণের কাজ শুরু হলো।
তিনি বলেন উন্নত ও আধুনিক জীবন দানে শিফট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট ও মডেল উপজেলা হবে শিবচর। এখান থেকে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ছেলে-মেয়ে তৈরি হবে। শত শত বছর ধরে যেভাবে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড, এমআইটি থেকে বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ জন্ম হয়েছে; ৭০ বছর ধরে ভারতে আইআইটি থেকে পড়াশোনা করে সুন্দর পিচাই গুগল সিইও হয়েছে তেমনি সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ভবিষ্যত বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ মেধাবী ছেলেমেয়েরা এখান থেকে তৈরি হবে।
পরে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে স্থানীয় ওমর ফারুক ও নাসির উদ্দিন মাতবরের হাতে ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করা হয়। এই মাসের মধ্যেই চেক হাতে পাবেন বাকি ক্ষতিগ্রস্তরা। মোট প্রায় ৭০একর জায়গার উপরে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর তিন শত দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ এ প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসবে।