টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫”-এর অংশ হিসেবে আজ “কর্মক্ষেত্রে নারী: বাধা ভেঙে সাফল্য অর্জন (Women in the Workplace: Breaking Barriers & Scaling Success)” শীর্ষক একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২১ জুন ২০২৫। ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অধিবেশনে বিভিন্ন খাতের অনুপ্রেরণাদায়ক নারী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অবস্থান, সম্ভাবনা ও অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে সমৃদ্ধ আলোচনা করেন।
প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা এবং পরিচালনা করেন এএসকে টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাক্কো পরিচালক সায়মা শওকত। আলোচনার শুরুতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যবস্থাপনা অংশীদার, আখতার ইমাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, নীতিগত অগ্রগতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন:
- জোহরা বেগম, যুগ্ম সচিব (অডিট উইং), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
- বিদ্যা অমৃত খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিজিএমইএ
- এমরাজিনা ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা, এমরাজিনা টেকনোলজিস ও Kaz360
- কেরি ব্রিন, সিনিয়র ডিরেক্টর, ব্রুমমার অ্যান্ড পার্টনার্স
- তানাজ্জুল আয়মান পূর্ণি, চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা, স্পার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী রেসার
প্যানেল আলোচনায় বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট বিদ্যা অমৃত খান বলেন, “নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব না। নারীর কর্মদক্ষতা উন্নয়ন, উন্নত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে বিজিএমইএ”। এছাড়া আলোচকরা কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য নীতি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং নারীবান্ধব নেতৃত্বের বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে নারীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমান সুযোগপ্রাপ্তির কর্মপরিবেশ তৈরিতে যৌথভাবে সরকার, বেসরকারি খাত এবং সমাজের অন্যান্য অংশীজনদের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা।
বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫-এর আয়োজকগণ এই সেশনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর একটি ইতিবাচক বার্তা তুলে ধরতে সক্ষম হন, যা দেশের অগ্রগতিতে নারীর অবদানকে আরও স্বীকৃতি ও শক্তি দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।