টেলিকম অপারেটরদের ওয়াই-ফাই সেবা প্রদানের সুযোগ, আপত্তি এনটিটিএন কোম্পানির

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: টেলিকম অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানের সুযোগ করে দিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করতে চাইছে বিটিআরসি। তবে প্রস্তাবিত এই নীতিমালায় একাধিক পক্ষ অসামঞ্জস্যতার কথা তুলে ধরছে। এনটিটিএন কোম্পানিগুলো শঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এতে বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়তে পারে। খবর এখন টিভি।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার অবকাঠামো মূলত এনটিটিএন বা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এনটিটিএন সেবার ওপর নির্ভর করে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো। ২০০৮ সালে প্রণীত নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব থাকলেও বিটিআরসি সম্প্রতি নতুন একটি অবকাঠামো ভাগাভাগির গাইডলাইন খসড়া প্রকাশ করেছে।

১৮ ডিসেম্বর বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খসড়ায় মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণ এবং ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে মোবাইল অপারেটররা পুরো টেলিযোগাযোগ খাতের সেবার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, “আমরা এ নীতিমালার অসম্পূর্ণতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। এটি যথেষ্ট কার্যকর হবে না। আমরা অবকাঠামো ভাগাভাগির বিষয়টি সবার জন্য নিশ্চিত করার কথা বলেছি।”

অন্যদিকে, এনটিটিএন কোম্পানিগুলো মনে করছে, এই নীতিমালা পাস হলে দেশীয় বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়তে পারে। ফাইবার এট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “নীতিমালার কিছু অংশ অসম্পূর্ণ। তাই পাস করার আগে তা যাচাই করা জরুরি।”

আইনজ্ঞরাও মনে করেন, বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার মধ্যে নতুন গাইডলাইনের অধিকাংশ বিষয়বস্তু রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, “বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও নতুন গাইডলাইন তৈরির প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট নয়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, অবকাঠামো ভাগাভাগির নীতিমালা কার্যকর করার আগে আরো বিস্তৃত আলোচনা করা প্রয়োজন, যাতে সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয় এবং টেলিযোগাযোগ খাত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন