টেকভিশন২৪ ডেস্ক: নেপালে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ হওয়ায় তরুণদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। হতাশা প্রকাশ, বন্ধুদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর মাধ্যম হিসেবে এসব প্ল্যাটফর্ম তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। দুর্বল শিক্ষা-স্বাস্থ্যব্যবস্থা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে ক্ষুব্ধ তরুণরা মনে করছে, এই নিষেধাজ্ঞা তাদের বঞ্চনা আরও গভীর করেছে।
কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যেই ‘নেপো কিডস’ বা রাজনীতিকদের প্রভাবশালী সন্তানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারা জানাচ্ছে, ‘যথেষ্ট হয়েছে’—এবার অন্যায় আর চুপচাপ সহ্য করা হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ক্ষমতাসীন শাসনকেও চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
সরকার দাবি করছে, সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ আইনি বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে বাস্তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এমন শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মগুলোকে নেপালে নিবন্ধিত হতে নিরুৎসাহিত করেছে। বিশেষ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যাজনক বিষয়বস্তু অপসারণের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় নেপাল এখনও বেশি বাকস্বাধীনতা ভোগ করলেও সাম্প্রতিক বিধিনিষেধে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের উচিত তরুণদের আবেগ ও চাহিদাকে সম্মান জানানো এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ণ রাখা।