বাংলালিংক ও প্রয়াসের ‘উইমেনটর এক্সপেরিয়েন্স ডে’ অনুষ্ঠিত

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: আগামী প্রজন্মের নারী নেতৃত্ব অনুপ্রাণিত করতে কাজ করছে বাংলালিংক। এই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় উইমেনটর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে প্রয়াস-এর সাথে এক্সপেরিয়েন্স ডে’র আয়োজন করেছে বাংলালিংক।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে (স্টেম) আগামীর নারী নেতৃত্ব খুঁজে বের করা ও তাদের বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংকের ফ্ল্যাগশিপ মেন্টরশিপ উদ্যোগ হিসেবে উইমেনটর প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির নারী টেক-লিডারদের সাথে স্নাতক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ও জানাশোনার সুযোগ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ক্যারিয়ারের দিক-নির্দেশনা পাওয়া ও দক্ষতা তৈরির ক্ষেত্রে ৬ মাসের অনন্য মেন্টরশিপ গ্রহণের সুযোগ পান। এবার ৫ম বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এ প্রোগ্রাম। প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়ি ভ্যালু প্রোপজিশন ‘লিড দ্য ফিউচার’-এর সাথে সঙ্গতি রেখে এ আয়োজনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আগামী বিনির্মাণ করাই বাংলালিংকের লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিশেষ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশনে আয়োজিত হয়। এক্সপেরিয়েন্স ডে উপলক্ষে নারী শিক্ষার্থীরা বিস্তৃত সামাজিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে সচেতনতা ও সহমর্মিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পেশাগত যাত্রাকে কীভাবে সমৃদ্ধ করা যাবে, তা জানার সুযোগ পান। অংশগ্রহণকারীরা সৃজনশীল শিল্প কার্যক্রমের মাধ্যমে এই আয়োজনে অংশ নেন। ফলে, শিক্ষার্থীরাও অনন্য ও কার্যকর উপায়ে তাদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ পান।

আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও হেড অব অরগানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট আশীষ কুমার রায়। ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স) উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দিনের বাকি অংশের আয়োজন করা হয়। এ সময়, নারী শিক্ষার্থীরা প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশনের গবেষক শিক্ষার্থী ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সাথে অর্থপূর্ণভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পান।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, “বাংলালিংক স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) খাতে নেতৃত্বের বিকাশে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেবল প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই নয়; বরং একইসাথে, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক প্রভাব তৈরিতে মূল্যবোধ ও সহানুভূতির মাধ্যমে নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করতে ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। সামাজিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করবে এমন অভিজ্ঞতায় তাদের পেশাগতভাবে দক্ষ ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল করার মাধ্যমে আগামীর নেতৃত্ব হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। কর্মীদের পেশাগত উন্নয়নের পাশাপাশি, বৃহত্তর জাতীয় কর্মশক্তিকে আরও সহমর্মী করে তোলার মাধ্যমে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।”

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন