টেকভিশন২৪ ডেস্ক: সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা নিজেরা তো এগিয়ে যানই, অনেককে সঙ্গে নেন, আরও বহুজনকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখান, অনুপ্রেরণা জোগান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের তেমনি ১০ জনকে তাঁদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হলো।
শনিবার বিকেলে ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন ২০২৫’ নামের এক আনন্দঘন রুচিস্নিগ্ধ অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে স্বর্ণপদক, সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এ উদ্যোগের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ছিল প্রথম আলো ডটকম।
এবার প্রথমবারের মতো ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ সম্মাননা দেওয়া হলো। এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল চলতি বছরের জুলাই মাসে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, পরিবেশ, সামাজিক উদ্যোগ, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা, সেবা খাত, উৎপাদন ও শিল্প এবং অন্যান্য খাতে ১০ জনকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আবেদন জমা পড়েছিল ৪১৬টি। সেখান থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৪৩ জন। তাঁদের মধ্যে বিচারকেরা সেরা ১০ জনকে নির্বাচিত করেন।
নির্বাচিতরা হলেন পালকি মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তফা আল মমিন (প্রযুক্তি উদ্যোগ), টিম ব্যর্থর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুরশিদুল আলম ভূঁঞা (সামাজিক উদ্যোগ), অনলাইন এডুকেশন কনটেন্ট ক্রিয়েটর মুনজেরিন শহীদ (অনলাইন শিক্ষা), রিদ্মিক কি-বোর্ডের উদ্ভাবক মো. শামীম হাসনাত (সফটওয়্যার প্রযুক্তি), নকরেক আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সুবীর নকরেক (ফ্রিল্যান্সিং), রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়া লাভলু (রোবোটিক প্রযুক্তি), চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী (চলচ্চিত্র নির্মাণ), মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ান আরিফ (সামাজিক উদ্যোগ), ফিলাইটের উদ্ভাবক মো. তাসনিমুল হাসান তাওহীদ (কৃষিপ্রযুক্তি) এবং ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা (ক্রীড়া)।
স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেনের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান।