ই-কমার্স সেক্টর নিয়ে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্ত-মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

বানিজ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান এমপি ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক এমপি ছবিতে।
টেকভিশন২৪ ডেস্ক: গতকাল ২৫ অক্টোবর বানিজ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে একটি আন্ত-মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান এমপি ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক এমপি। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
দেশে ই-কমার্স ব‍্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটছে। কিছু কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অনলাইনে ব‍্যবসার নামে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে তাদের জন‍্য বাকি ই-কমার্স ব‍্যবসায়িদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে অবশ‍্যই আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব‍্যবস্থা করতে হবে।সরকারের যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ‍্যমে ই-কমার্স ব‍্যবসায় গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
 
ই-কমার্স এসোসিয়েশণ অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সভাপতি শমী কায়সার ডিজিটাল কমার্স খাতের বর্তমান পরিস্থিতি একটি প্রেজেন্টেশান এর মাধ্যমে তুলে ধরেন। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে গ্রাহক ও মার্চেন্ট সমস্যা সমাধান, পরিস্থিতি উত্তরণে করনীয় বা স্থায়ী সমাধান এবং ভবিষ্যতে এই খাতের উন্নয়নের জন্য কতিপয় প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
 
সভায় ই-ক্যাব-এর প্রতিনিধিরা।
 
সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল কতৃক ইউবিআইডি (একক ব্যবসা চিহ্নিতকরণ নম্বর) বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক এসক্রো সেবা স্বয়ংক্রিয় করণ, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কতৃক সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্ম (কেন্দ্রীয় বিতরণ নজর মোকাম), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কতৃক সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (কেন্দ্রীয় অভিযোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি), ডিজিটাল কমার্স সেল কতৃক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অনিয়মে নজরদারী ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্স এর জন্য একটি পলিসি ও প্লাটফর্ম তৈরী করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
 
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, জরুরী ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরেন, যথাক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় পেমেন্ট গেটওয়েতে এসক্রো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্রেতাদের যেসব অর্থ আটকে রয়েছে সেসব অর্থ দ্রুত ছাড় দিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি দূরার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এই খাতে আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে যেসব উদ্যোক্তা ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ মেনে ব্যবসা করছে তাদেরকে স্বীকৃতি ও সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
 
গণমাধ্যমে নেতিদবাচক প্রচারণার কারণে এই খাতে বিদেশী বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তাই ইতিবাচক প্রচারণায় জোর দেয়া প্রয়োজন। মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠান ও বিদেশী বিনিয়োগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ই-ক্যাবের সদস্যপদ বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। নবীন খাত হিসেবে ভ্যাট ট্যাক্স এর ক্ষেত্রে ই-কমার্স সেক্টরের আরো সহায়ক নীতি প্রয়োগের অনুরোধ করেন তিনি। বিশেষকরে ক্রেতাদের সচেতন করার জন্য ই-ক্যাবের কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং যৌথভাবে সচেতনতামূলক প্রচারণার প্রস্তাব করেন। এই খাতের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষনা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন