ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম স্নাতক অনুষ্ঠান

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম স্নাতক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আয়োজিত "প্রথম গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি” অনুষ্ঠানে মেরিট গোল্ড এওয়ার্ড প্রদান করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ জোহর আলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক (অ্যাসেট প্রকল্প) আবু মমতাজ সাদুদ্দিন আহমেদ, আইডিইবি এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, বাংলাদেশে ইউএনডিপির অতিরিক্ত আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন প্রমুখ।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আয়োজন করল “প্রথম গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি” অনুষ্ঠান। আজ ২৬ জুলাই, ২০২৩ তারিখে রাজধানীতে ধানমন্ডির সোবহানবাগে ড্যাফোডিল প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য  মোঃ জোহর আলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক (অ্যাসেট প্রকল্প) আবু মমতাজ সাদুদ্দিন আহমেদ, আইডিইবি এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, বাংলাদেশে ইউএনডিপির অতিরিক্ত আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন প্রমুখ।    

এবারের গ্রাজুয়েমন সেরিমনিতে ৩৫০ জন ডিপ্লামা ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মেধা তালিকায় সেরা ১০ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গোল্ড মেডেল  এবং ৩ জনকে চেয়ারম্যান এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সেরা শিক্ষার্থীর পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জেরিন তাসনিম জেবা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনির মধ্য দিয়ে শেষ হলো আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এখন আপনাদের অর্জিত শিক্ষা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজে লাগানোর পালা। আপনাদের অর্জিত শিক্ষা সমাজ ও দেশের কোন কাজে না আসলে সেটা হবে একটা অনেক বড় অন্যায় এবং আপনাদের বাবা মা, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার একটা বিরাট অপচয়। সুতরাং, আজ আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন, আপনারা যা পেয়েছেন, তার বহুগুণ দেশকে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখবেন। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনসইটটিউট তাদের উন্নয়নও অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা লাভের পরপরই কারিগরি শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ জোড় দিয়ে ছিলেন। তারউ সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিটিাল বালাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে কাজ কওে যাচ্ছেন। 

 গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি বক্তা হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজা শিক্ষার্থীদের  উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবন চলে না। আপনারা প্রত্যেকেই উচ্চ এবং নিম্ন, কঠিন এবং সহজ, এবং, দুঃখজনকভাবে, মাঝে মাঝে অনেক চ্যালেঞ্জর মুখোমুখী হতে পারেন এবং জীবন যথেষ্ট মসৃণ নৌযান নাও হতে পারে। আপনি কীভাবে উভয় পরিস্থিতি পরিচালনা করবেন তা আপনার সাফল্যের প্রকৃত স্তর নির্ধারণ করবে।

তিনি আরো বলেন, আপনি যদি আপনার জীবদ্দশায় কোনো শীর্ষ মাল্টিন্যাশনাল বা স্মার্ট কর্পোরেটের সিইও পদে না উঠতে পারেন, তাতেও সমস্যা নেই।  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি ইতিমধ্যে আরও আশাবাদী ভবিষ্যত তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কি না। পরিবর্তন এবং বাধাগুলির সাথে সামঞ্জস্য করার আপনার ক্ষমতা প্রতিটি পাঠ, ল্যাব সেশন, ক্লাস পরীক্ষা, প্রকল্পের কাজ বা গবেষণা, মধ্য-সেমিস্টার এবং আপনার সম্পূর্ণ করা প্রশংসাপত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চাষ করা হয়েছে কি না।

স্বাগত বক্তব্যে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন  বলেন, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকে অনুঘটক মনে করেছে এবং এর একাডেমিক সিস্টেমের সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করেছে। আমরা আধুনিক ফ্ল্যাগশিপ ইন্সটিটিউট হিসেবে বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ  প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, অ্যাক্সেস এবং ইক্যুইটির প্রতি নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠান  এবং উল্লেখযোগ্যভাবে শিক্ষাদান, শেখার, গবেষণার মান এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে।” বলে অধ্যক্ষ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, একটি জেড জেনারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তামূলক পরিষেবা এবং সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে আমরা একটি ব্যাপক শিক্ষামূলক ইকো সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন