টিভি২৪ আইডেস্ক: ওয়াই-ফাই রাউটারটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখে অনেকেই। কিন্তু জানেন কি, এর ফলে মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। যা আপনার অজান্তেই সর্বনাশ ডেকে আনছে শরীরের।
করোনা মহামারী চলাকালীন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইনে ক্লাস একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে৷ সেই কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের বাড়িতে ওয়াই-ফাই ইনস্টল করেছেন। একদিকে কর্মজীবী মানুষের জন্য অফিসের কাজ করা অন্যদিকে শিশুদের পড়াশোনা করা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে। এছাড়া বাড়ির প্রতিটি সদস্যও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পেয়েছে।
ওয়াই-ফাই রাউটারের কারণে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। এই সমস্ত প্রয়োজনীয়তা এবং সুবিধার কারণে, লোকেরা ওয়াই-ফাই রাউটারটি ২৪ ঘন্টা চালু রাখে। এমনকী অফিস চালু হওয়ার পরও মানুষ ওয়াই-ফাই সংযোগ দিনরাত চালিয়ে রাখে। কিন্তু জানেন কি, এর ফলে মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। যা আপনার অজান্তেই সর্বনাশ ডেকে আনছে শরীরের৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াই-ফাই আপনাকে যেমন অনেক সুবিধা দেয়, তেমনই এটি অনেক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হাই স্পিড ইন্টারনেটের জন্য দিনরাত ওয়াই-ফাই অন রাখা বাড়ির ছোট শিশু, বৃদ্ধ এবং যুবক সকলের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সারাদিন ওয়াই-ফাই রাউটারটি চালু থাকলে এটি সামান্য বিকিরণ তৈরি করে। অল্প সময়ের জন্য এর সংস্পর্শে থাকা খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও দিনের বেশিরভাগ সময় এর সামনে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজ হয়ে গেলে ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন থেকে ক্যানসার হতে পারে। বিশেষত রাতেও ওয়াই-ফাই চালু থাকলে অবসর সময়েও ব্যবহারকারীদের স্ক্রিন টাইম অনেকক্ষণ বেড়ে যায়। এতে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই রাতের বেলা নিয়ম করে ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ রাখা ভীষণ দরকার।
রাউটার থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনও ক্যানসার ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। যা কিনা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর৷ ওয়াই-ফাই থেকে ক্রমাগত নির্গত নন-থার্মাল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন শুধুমাত্র শিশুদের ওপরই নয়, ভ্রূণের বিকাশেও খারাপ প্রভাব ফেলে।
শিশুদের শুধু নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের জন্যও এটি খুব খারাপ প্রভাব ফেলে৷ এই বিকিরণ টিস্যুর বিকাশকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও এটি অনিদ্রা এবং কম ঘুমের মতো সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। আসলে, ওয়াই-ফাইয়ের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। অতিরিক্ত ওয়াই-ফাই ব্যবহারে মানসিক একাগ্রতা হ্রাস, শুক্রাণুর উপর খারাপ প্রভাব পড়ে৷