টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ”হিরো মোটোকর্প কয়েক লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মানুষের পথচলাকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই সাফল্যের মূলে রয়েছে এর ক্রমবিকশিত প্রকৌশলগুণ, চমৎকার ব্যবহারযোগ্যতা এবং টেকসই চর্চা।
এছাড়াও সততা এবং বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গড়ে ওঠা এক সামগ্রিক পরিম-লও এই সাফল্য এনে দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে- এটা হিরো মোটোকর্পের গ্রাহকদের জন্য একটি উদযাপনের উপলক্ষ্য, যারা পাশে থেকে ভালবাসা এবং বিশ্বাসে আমাদেরকে সিক্ত করেছেন।”
”এই উল্লেখযোগ্য অর্জন ভারত এবং হিরো’র ব্র্যান্ডের আবেদনের সহজাত সক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ নিশ্চিত করেছে। ভারতে আমরা সারাবিশ্বের জন্য পণ্য তৈরি করছি এবং গ্রাহকের পছন্দকে মাথার রেখে করা আমাদের কাজ এবং এই অর্জন ভৌগোলিক, জনসংখ্যা এবং প্রজন্মকেও অতিক্রম করে। ”
”আমরা আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির যাত্রা অব্যাহত রাখছি। আমাদের ভিশন- ‘গতিশীলতার ভবিষ্যত’ অনুযায়ী আগামী ৫ বছরে নতুন নতুন মোটরসাইকেল এবং স্কুটারের উদ্বোধন করবো এবং আর্ন্তজাতিক বাজারে আমাদের বিস্তারও আরো বাড়বে। এছাড়াও আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো এবং গতিশীলতার নতুন নতুন সমাধানে কাজ করে যাবো। ”
–ড. পাওয়ান মুঞ্জাল, চেয়ারম্যান এন্ড সিইও, হিরো মোটোকর্প
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল ও স্কুটার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১০ কো/টি পণ্য উৎপাদনের মাইলফলক স্পর্শ করলো হিরো মোটোকর্প। ১০ কোটিতম বাইক হিসেবে এখন উত্তর ভারতের প্রদেশ উত্তররেখা হার্ডিওয়ারে উৎপাদন করা হচ্ছে- দ্য এক্সটিম ১৬০আর।
এই বছরটি হিরো মোটোকর্পের জন্য আরও একটি কারণে বিশেষ গুরুত্ববহ, কারণ মোটরবাইক তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হবার সম্মানজনক খেতাবটি টানা ধরে রাখার ক্ষেত্রে এবছর ২০ বছর পূর্ণ করলো প্রতিষ্ঠানটি।
হিরো মোটোকর্পের এই অর্জনটি বিশ্বের ইতিহাসে দ্রুতততম সময়ের মধ্যে ১০ কোটি উৎপাদন মাইলফলক স্পর্শ করা অর্জনগুলোর একটি, যেখানে মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানেই প্রায় ৫ কোটি ইউনিট উৎপাদন বেড়েছে।
১০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ উপলক্ষ্যে দিল্লির গুরুগ্রামে অবস্থিত কোম্পানির নিজস্ব কারখানায় গাড়ির ছয়টি বিশেষ সংস্করণের মডেল উন্মোচন করেন হিরো মোটোকর্পের চেয়ারম্যান এবং সিইও ড. পাওয়ান মুঞ্জাল। এই ছয়টি বিশেষ সংস্করণের মধ্যে রয়েছে-স্পেøন্ডার+, এক্সট্রিম ১৬০আর, প্যাশন প্রো, গ্লামার (মোরসাইকেল), ডেসটিনি ১২৫ এবং মায়েস্ত্রো এজ ১১০ (স্কুটার)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই বিশেষ সংস্করণের এসব মডেলের গাড়ি বাজারে পাওয়া যাবে।