টেকভিশন২৪ ডেস্ক: সরকার বেসরকারি খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিন কেব্ল বসানোর লাইসেন্স প্রদান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের কাছে সাবমেরিন কেব্ল লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে। ফলে মেটাকোর এখন থেকে ইন্টারনেট যোগাযোগের জন্য সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার অপটিক তার বসিয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবে।
বিটিআরসি কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জুনায়েদের কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন। এ সময়ে সংসদ সদস্য ও মেটাকোরের ভাইস চেয়ারম্যান রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, মেটাকোরের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম, বিটিআরসির লিগ্যাল ও লাইসেন্স বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, লাইসেন্স বিভাগের পরিচালক মো. নূরন্নবী উপস্থিত ছিলেন।
লাইসেন্স দেওয়ার সময় শ্যাম সুন্দর সিকদার লাইসেন্সিং গাইডলাইনের সব নিয়ম পালন করে সামনের কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে বিটিআরসির পক্ষ থেকে সব রকমের সাহায্য ও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
মেটাকোর সাবকম লিমিটেড -এর পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম টেকভিশন২৪ কে বলেন, এই লাইসেন্স গ্রহনের পর থেকে অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়ামের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে। কনসোর্টিয়ামের বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরেই আমাদের কাজ শুরু হয়ে ৩-৪ বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানানা জনাব হাকিম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এবং কনসোর্টিয়ামের সাথে চুক্তিবদ্ধ বিদেশি কোম্পানিকে শুরুতে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে হবে।
হাকিম আরো বলেন, সরকারের বেঁধে দেয়া ৪৮ মাস সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমরা ইতোমধ্যে ভারত, সিঙ্গাপুর সহ কয়েকটি দেশের কিছু কোম্পানির সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আমাদের কনসোর্টিয়ামের কাজ শেষ হয়ে যাবে, এবং ২০২৩ সালের দিকে মূল কাজ শুরু হয়ে যাবে।
সরকার বিডিং পদ্ধতিতে সাবমেরিন কেব্ল লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে গত ১০ মে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৬টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। কারিগরি ও অন্যান্য সক্ষমতা বিবেচনা করে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সাবমেরিন কেব্ল লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সিডিনেট কমিউনিকেশনস লিমিটেড সহ এই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।