ফেসবুকে সন্ত্রাসী কনটেন্ট শনাক্তে কাজ করছে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ দল

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মেটার কাউন্টার-টেররিজম অ্যান্ড ডেঞ্জারাস অর্গানাইজেশনের প্রধান নওয়াব ওসমান।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: মেটার পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন করা হয় না। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলতে দেওয়া হয় না। শুধু তা–ই নয়, ঘৃণ্য বক্তব্য বা সহিংসতা ছড়ায়—এমন পোস্টও দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। যেকোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক বা অবমাননাকর পোস্ট দিলেও সেগুলো মুছে ফেলা হয়। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কনটেন্ট শনাক্তে একদল বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন ফেসবুকে।

গত সোমবার, ২৭ জুন দুপুরে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আয়োজিত ‘ফাইটিং টেররিজম অ্যান্ড অর্গানাইজড হেট অ্যান্ড মেটাস অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় মেটার নীতিমালা এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করা বিষয়বস্তুর (কনটেন্ট) বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরা হয়।

ওয়েবিনারে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মেটার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ডেঞ্জারাস অর্গানাইজেশন বিভাগের প্রধান নওয়াব ওসমান বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রশংসা করে দেওয়া পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়। রাজনৈতিক পোস্টের জন্যও এখন ফেসবুকের নীতিমালা রয়েছে। সন্ত্রাসী কনটেন্টের ধরন বদলে গেছে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত করেছি। এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফেসবুকে সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে তিনটি কর্মসূচি রয়েছে। এগুলো হলো সার্চ রিডাইরেক্ট, কারেজ প্রজেক্ট ও রিজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভ।

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নওয়াব ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার জন্য মেটার একাধিক দল কাজ করছে। এসব কর্মী স্থানীয় বাজার ও ভাষা বিশেষজ্ঞ। তারা সবাই বাংলাদেশি। এ ছাড়া আমাদের প্রযুক্তি আছে। আমাদের অ্যালগরিদম অনেক পোস্ট ধরতে পারে। বিতর্কিত পোস্ট বিষয়ে ব্যবহারকারীরাও রিপোর্ট করতে পারেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যবহারকারীর রিপোর্ট বিবেচনা করা হয়।’

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন