চীনের সর্বকনিষ্ঠ নভোচারীর মহাকাশে যাত্রা

আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন। আর তাই নিজেদের মহাকাশ অভিযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচেষ্টা।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১.১৪ টায় উত্তর-পশ্চিম চীনের জিয়াকুয়াং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনঝু-১৭ মহাকাশযান নিয়ে যাত্রা শুরু করে লং মার্চ টুএফ রকেট।

মহাকাশযাত্রায় নেতৃত্বে রয়েছেন চীনা বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট তং হোনবু। ৪৮ বছরের এই নভোচারীর সহযাত্রী হয়েছেন ৩৫ বছরের জিয়াং ঝিনলিন এবং ৩৩ বছরের তং শেংজি।

তং হোনবু ১৯৯৫ সালে চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মিতে যোগ দেন এবং ২০২১ সালে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের প্রথম ক্রু মিশনে ছিলেন তিনি। তবে সহযাত্রী দুজনের জন্য মহাকাশ যাত্রা এই প্রথম।
শেনঝু-১৭ মহাকাশযান যাত্রা শুরুর পর ১৫ মিনিট পর্যবেক্ষণ শেষে চীনা মহাকাশ প্রোগ্রাম কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, তিন নভোচারীর যাত্রা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।

জিয়াকুয়াংয়ে উপস্থিত থেকে মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ অবলোকন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মহাকাশ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে টেক্কা দিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন।

২০২২ সালের শেষ দিকে চীন মহাকাশে নিজস্ব স্টেশন তিয়ানগং প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়। স্টেশনটিতে একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিনজন মহাকাশচারী অবস্থান করতে পারবেন।

পৃথিবী থেকে কক্ষপথের ৪৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় গড়ে তোলা এই মহাকাশ স্টেশনটির মেয়াদ ১৫ বছর।
বর্তমানে চীনের মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছেন শেনঝু-১৬ মহাকাশযানের তিন ক্রু। তারা গত মে মাসে তিয়ানগংয়ে পৌঁছেন এবং চলতি অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন শেনঝু-১৭ মহাকাশযানের তিন নভোচারী।

বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি মানব মিশন পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। চাঁদের বুকে একটি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

চীনা মহাকাশ কর্মসূচির ডেপুটি ডিরেক্টর লিন বুধবার সেই লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের শিডিউল সময়ের মধ্যেই চীনা জনগণের চাঁদে পা ফেলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন