এমআর গ্লাস ডেভেলপার এডিশন লঞ্চিংয়ের মাধ্যমে অপোর এক্সআর প্রযুক্তির ক্ষমতায়ন

  • অপো এমআর গ্লাস বিশ্বের সর্বপ্রথম এমআর ডিভাইস, যা স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেস এক্সআর ডেভেলপারস প্ল্যাটফর্ম।
  • অপো এমআর গ্লাস চীনের স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেস ডেভেলপার কিট হিসেবে পাওয়া যাবে, যা ২০২৩ সালের শেষ অর্ধাংশে বাজারে ছাড়া হবে।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: অগমেন্টেড ওয়ার্ল্ড এক্সপো (এডব্লিউই) ২০২৩-এ এক্সআর খাতে অপো এর সর্বশেষ প্রযুক্তি– অপো এমআর গ্লাস ডেভেলপার এডিশনের উন্মোচন করে। এই এমআর ডিভাইসটির ভেতর ও বাইরে রয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তি, যা কিনা নিত্যনতুন চমকপ্রদ ‘এমআর অভিজ্ঞতা’ তৈরি করতে ডেভেলপারদের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করে।

ভবিষ্যতে এক্সআর প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে অপো একটি নতুন তরঙ্গের কথা ভাবছে এবং এর মধ্যে এমআর অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি। এমআর প্রয়োগে উদ্ভাবনীশক্তি বৃদ্ধি করতে অপো এমআর গ্লাসকে চীনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেস ডেভেলপার কিট হিসেবে তৈরি করা হবে, যাতে আরো অনেক ডেভেলপার এ দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং এক্সআর প্রযুক্তির সকল সীমানা ছাড়িয়ে যায়।

বক্তৃতা প্রদানকালে অপো’র এক্সআর প্রযুক্তির পরিচালক য়ি জু বলেন, “বছরের পর বছর ধরে চলা উদ্ভাবন এক্সআর প্রযুক্তির অপরিসীম সম্ভাবনা, বৈপ্লবিক মিথস্ক্রিয়া এবং তথ্যের অভিগম্যতার উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে, ভার্চুয়াল ও বাস্তব জগতকে নিখুঁতভাবে জুড়ে দেয়ার সক্ষমতার পাশাপাশি বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে কল্পনার সীমাহীন বিস্তৃতিতে একটি স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে এমআর। অপো এমআর গ্লাস এই অন্বেষণে আমাদের সর্বশেষ যুগান্তকারী উন্নয়নের উপস্থাপন করে, যাতে ডেভেলপারদের ক্ষমতায়নে স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেসের সক্ষম প্রয়াস একটি সহায়ক ভূমিকা রাখে।”

“অপো এবং কোয়ালকম প্রযুক্তি’র দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং সমমনা রূপকল্প এক্সআর ক্ষেত্রে আমাদের সমন্বয়কে ত্বরান্বিত করেছে। আমাদের পারস্পরিক লক্ষ্য হচ্ছে, একটি ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা, যা ডেভেলপারদের ক্ষমতায়ন করবে এবং এক্সআর উদ্ভাবনের সীমাহীন সম্ভাবনার পথে যেতে সাহায্য করবে।”

কোয়ালকাম প্রযুক্তি ইনকর্পোরেশনের এক্সআর পণ্য ব্যবস্থাপনার জ্যেষ্ঠ পরিচালক বাকাদির বলেন, “প্রযুক্তির অন্বেষণে আমরা অপোর দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টা, পণ্য, কনটেন্ট এবং এক্সআর সেবার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করি এবং এগুলোই অপোকে এই খাতে যোগ্য অংশীদার করে তোলে। সম্ভাব্য সমাধানের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা, সৃজনশীলতা এবং অপো এমআর গ্লাসের গেমিং অভিজ্ঞতা উন্নয়নে আমরা সন্তোষের সাথে লক্ষ করছি যে ডেভেলপার দলের মধ্যে উচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা এও আশা করি যে এই প্ল্যাটফর্মকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে আরো এমআর কনটেন্ট পাব, যা কিনা এই খাতের জন্য বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে এবং উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে অপোর সাথে সমন্বয় জোরদার করার মাধ্যমে আমরা এমআর ইকোসিস্টেমের মধ্যে আরো নতুন উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহ দিতে চাই।”

অপো এমআর গ্লাস

সর্বশেষ এমআর প্রযুক্তি যাচাই করতে ডেভেলপারদের জন্য সর্বসেরা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করার উদ্দেশ্যে অপো এমআর গ্লাসকে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও বিশেষ উদ্ভাবনের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

স্ন্যাপড্রাগন এস্কআর২+ প্লাটফর্ম দ্বারা চালিত, অপো এমআর গ্লাসের মালিকানাধীন ‘সুপারভুক’ দ্রুত চার্জিং এবং হৃদপিণ্ডের গতি শনাক্তকরণ ফাংশন দিয়ে সাজানো, যা বিভিন্ন নতুন অ্যাপ্লিকেশনের সম্ভাবনা তৈরি করে। ত্বকের ক্ষতি হবে না, এমন উপাদান দিয়ে তৈরি অপো এমআর গ্লাসে রয়েছে বাইনোকুলার ভিপিটি (ভিডিও পাস থ্রু) প্রযুক্তি, ডুয়াল ফ্রন্ট আরজিবি ক্যামেরা, প্যানকেক লেন্স এবং ১২০ হার্জের হাই রিফ্রেশ রেট।

গত কয়েক বছরে অপো উন্নত এক্সআর প্রযুক্তি সংক্রান্ত কনসেপ্ট পণ্যের বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে, যা ডেভেলপারদের একত্রে উদ্ভাবনের ক্ষমতা দেয়। ২০১৯ সালে বাজারে আসা অপোর প্রথম এআর কনসেপ্ট প্রোডাক্ট হচ্ছে অপো এআর গ্লাস। অপো তিনটি স্মার্ট গ্লাস বাজারে এনেছে এবং এর মধ্যে রয়েছে অপো এআর গ্লাস ২০২১, অপো এআর গ্লাস এবং অপো এআর গ্লাস ২– যেগুলোর মাধ্যমে অ্যালগরিদম, অপটিক্যাল সমাধান, মিথস্ক্রিয়া এবং ইকোসিস্টেমের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো যায়। এক্সআর খাতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে অপো এয়ার গ্লাস এআর ক্যাটাগরিতে এডিসন প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডসে রৌপ্যবিজয়ী হয়। অপো’র এক্সআর যাত্রায় সাইবরিয়েলের এআর অ্যাপ্লিকেশনও অন্তর্ভুক্ত এবং এতে অন্য কিছু উদ্ভাবন রয়েছে, যা কিনা বাস্তব এবং ডিজিটাল জগতকে একই সুতোয় বুনে দেয়।

অপো এমআর গ্লাস চীনে স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেস ডেভেলপার কিট হিসেবে পাওয়া যাবে, যা ২০২৩ সালের শেষ অর্ধাংশে এনলাইটএক্সআরের মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হবে। এর মাধ্যমে ডেভেলপাররা শীর্ষমানের হার্ডওয়্যার এবং চীনে স্ন্যাপড্রাগন স্পেসেস কনটেন্ট ইকোসিস্টেম বিস্তৃতির সুযোগ পাবেন।

অপোর কথা

অপো একটি বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড। এর প্রথম মুঠোফোন ‘স্মাইলি ফেস’ ২০০৮ সালে বাজারে আসার পর থেকে অপো নান্দনিক সন্তুষতির সাথে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির নিখুঁত সমন্বয় ঘটাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজ অপো ফাইন্ড এক্স এবং রেনো সিরিজকে সামনে রেখে বিস্তৃত পরিসরের স্মার্ট ডিভাইস তৈরি করে। শুধু ডিভাইসই নয়, অপো এর ব্যবহারকারীদের কালারওএস অপারেটিং সিস্টেম এবং অপো ক্লাউড এবং অপো+ এর মতো ইন্টারনেট পরিসেবাও দিয়ে থাকে। ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে অপো পদচিহ্ন রেখেছে, যাতে ৪০,০০০ এরও বেশি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের জন্য উপভোগ্য জীবনযাপন গড়ে দিতে কাজ করে চলেছেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন