টেকভিশন২৪ ডেস্ক: আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগেই মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের জন্য ১৭ টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করে। উদ্দেশ্য দেশের বাজারে চাহিদা মিটিয়ে বহি: বিশ্বে রপ্তানি করা। সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর অবকাশের সুবিধা প্রদান করে উৎপাদনের ক্ষেত্রে। আর উৎপাদন বাজারজাতকরণ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকেই যায় যা গ্রাহক থেকে আদায় করা হয়। ২০২২ -২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় বাজারজাতকরণে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার ফলে গত বছর প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা প্রতিটি হ্যান্ডসেটের দাম বৃদ্ধি পায়।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলির উপর কর অবকাশের সুবিধা নিয়ে সে সকল প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা রাতারাতি অধিক অর্থের মালিক হলেও গ্রাহক তথা দেশের নাগরিকরা দেশীয় উৎপাদনের সুফল খুব একটা পায়নি। দেশের প্রায় ৪৬ শতাংশ নাগরিক যখন ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত। সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় তখনও স্মার্টফোন থেকে বঞ্চিত অর্থাৎ ইন্টারনেট সেবার বাইরে তখন ৪৬ শতাংশ মানুষ। আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে আরো তিন থেকে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সংবাদ বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। গত ৪-৫ দিন যাবত আমাদের সংগঠনের কর্মীরা বাজার পর্যবেক্ষণ করে এসে দেখেছে যে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে মূল্য দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক অগ্রহণযোগ্য। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি কিন্তু তারা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাজার পরিদর্শন করার কিংবা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমরা লক্ষ্য করিনি।
আমরা আশা করব সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য স্মার্টফোনের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করবেন। এবং দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করবেন এই সুযোগে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে যাচ্ছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। যারা ইতিমধ্যে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে আগাম সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।