টেকভিশন২৪ ডেস্ক: নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবার ‘অবৈতনিক’ পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার তার পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব–১ এম এম ইমরুল কায়েস।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ পদত্রাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। এর আগের মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে ফের নিয়োগ পান সজীব ওয়াজেদ।সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান–ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার–২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।এদিকে এই খবরের আগেই মন্ত্রিসভার তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান; ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
আর প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা হলেন অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ–বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। আজ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের বিষয়ে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি শিল্প ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।
এ বিষয়ে ওই কার্যলয় থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে। তখন তিনি আরো জানিয়েছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার পদটি অবৈতনিক হওয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয় পদত্যাগের আওতায় পড়ছেন না। তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তারেক সিদ্দিকী ও সালমান এফ রহমান। তাই এদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে।