টেকভিশন২৪ ডেস্ক: টিকটক বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনার মাঝে চীনা স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও অ্যাপ শাওহংশু (ইংরেজিতে রেডনোট) যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের নজর কাড়ছে। ১৩ জানুয়ারি এই অ্যাপটি অ্যাপল স্টোরের বিনামূল্যের অ্যাপ তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং বিভাগের শীর্ষ স্থানেও অবস্থান করছে।
টিকটকের অনেক নির্মাতা তাদের অনুসারীদের শাওহংশুতে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। টিকটক নিষিদ্ধ হলে ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিশ্চিত বলা না গেলেও শাওহংশু তাদের জন্য একটি বিকল্প হয়ে উঠছে।
শাওহংশুর জনপ্রিয়তার কারণ
২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা শাওহংশু মূলত পিন্টারেস্টের মতো লেআউট ও ইনস্টাগ্রামের মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি। এটি সামাজিক শপিং ফিচারসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় চীনের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বর্তমানে এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ কোটি, যার ৭৯ শতাংশই নারী।
শাওহংশু ইতোমধ্যে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। টেনসেন্ট, আলিবাবা, জেনফান্ড এবং সিকোয়া চায়নার মতো কোম্পানিগুলো এ পর্যন্ত এই স্টার্টআপে প্রায় ৯১৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০২৪ সালে এটি ১৭ বিলিয়ন ডলারে মূল্যায়িত হয়।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে শাওহংশু ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফা করেছে। এই প্রবৃদ্ধি অ্যাপটির সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে এবং এর নির্মাতাদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করছে।
ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
শাওহংশুর জনপ্রিয়তা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। একই সঙ্গে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নজরদারি বা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হবে কিনা, সেটাও দেখার বিষয়।
অন্যদিকে, টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী মেটার অ্যাপগুলোও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলো সম্প্রতি কনটেন্ট মডারেশন শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে, যা ভুল তথ্য ও ঘৃণাসূচক কনটেন্ট ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
টিকটক বন্ধ হলে শাওহংশু কি সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।
সূত্র : টেকক্রাঞ্চ