টেকভিশন২৪ ডেস্ক: গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) গ্লোবাল মো. সবুর খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিইএন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। যা বাংলাদেশের স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ নিয়োগের মাধ্যমে জিইএন বাংলাদেশ এখন দেশের উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ এবং নতুন ব্যবসা উদ্যোগীদের বিশ্বব্যাপী জিইএন গ্লোবালের নেটওয়ার্ক, সম্পদ এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে সংযুক্ত করতে কাজ করবে।
এই নিয়োগকে জিইএন গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট জনাথন অর্টমানস অনুমোদন করেছেন এবং জিইএন গ্লোবালের সিনিয়র প্রতিনিধি মি. পিটার কোমিভস এখন জিইএন বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মো. সবুর খানের সাথে যৌথভাবে কাজ করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নত করতে ভূমিকা রাখবেন।
জিইএন গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট জনাথন অর্টমানস মো. সবুর খানের নিয়োগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশের উদ্যোক্তা সম্ভাবনা বিশাল এবং এখন জিইএন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধনের মাধ্যমে আমরা দেশ থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বিশ্বের ২০০টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গবেষণা, নীতি সহায়তা, এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করছে। এর প্রধান উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ উইক, এন্ট্রাপ্রেনারশীপ ওয়ার্ল্ড কাপ এবং গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ কংগ্রেস।
মিস্টার খান, একজন খ্যাতনামা উদ্যোক্তা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি -এর সাবেক সভাপতি, শিক্ষাবিদ এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জিইএন বাংলাদেশ-এ তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার নতুন প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।
জিইএন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মো. সবুর খান বলেন, উদ্যোক্তা হওয়া শুধু ব্যবসা করা নয়; এটি একটি সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী মাধ্যম। জিইএন বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা তরুণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযুক্ত করব এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করব। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা উদ্যোক্তাবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।