টেকভিশন২৪ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে, যা দেশের মাটিতে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা করবে।
স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে, এবং এ সময় তারা বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই অংশীদারিত্বের আওতায় জমির বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্টারলিংক প্রতিনিধি দলের সফরের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট স্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব জায়গা ব্যবহার করে সহায়তা দিচ্ছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জায়গা ব্যবহারের বিষয়টি স্টারলিংক বিবেচনা করছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তাইয়েব জানিয়েছেন, বর্তমানে স্থান নির্বাচন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, বিশেষ করে উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাধা ছাড়াই চলবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তার এখনও সীমিত, এবং অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও ডিজিটাল অর্থনীতির উদ্যোগগুলোকে আরও গতিশীল করবে।”
তিনি আরও জানান, “আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি কার্যকর মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দেশের তরুণদের জন্য স্টারলিংক সেবা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি মাস্ককে জানান, এই সফরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন, যারা এই প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করা যায়।
এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ইলন মাস্কের সঙ্গে এক দীর্ঘ টেলিফোন আলাপ করেন, যেখানে স্টারলিংক সেবা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।