টেকভিশন২৪ ডেস্ক: রাজধানীতে রবিবার (২৩ মার্চ, ২০২৫) অনুষ্ঠিত হলো ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেওনার : বিল্ডিং টু সাস্টেইনেবল গ্রোথ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) ও বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় তিনটি ব্যাচের মোট ৬০ জন ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এ বছরই প্রথমবার চট্টগ্রামে একটি ব্যাচে ২০ জন ফ্রিল্যান্সারকে উদ্যোক্তা হবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিপিসির পরিচালক তরফদার সোহেল রহমান। তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি সম্ভব। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাই এবং বাক্কোকে ধন্যবাদ জানাই এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে থাকবে।”
বাক্কোর সহসভাপতি মো. তানজিরুল বাসার বলেন, “বিপিও শিল্পের সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল সেবার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে বিপিও শিল্পের বিকাশের বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা চাই তরুণরা ফ্রিল্যান্সিং-এর গণ্ডি পেরিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করুক।”
বাক্কোর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুসনাদ-ই-আহমদ বলেন, “আমি নিজেও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম, তখন প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত ছিল। বাক্কোর এই উদ্যোগ নতুনদের জন্য একটি বড় সুযোগ। আমি বিশ্বাস করি, এই কর্মশালা অংশগ্রহণকারীদের দক্ষ উদ্যোক্তা হয়ে ওঠায় সহায়তা করবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমরাজিনা ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা এমরাজিনা টেকনোলজিস; ফয়সাল মোস্তফা, সিইও ভাইজার এক্স লিমিটেড; মো. ফয়সাল খান, সহকারী পরিচালক, বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল; মো. মনজের হোসাইন, প্রশিক্ষক; বাক্কোর নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহতাবুল হক, পিএসসি, এবং বাক্কো সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২২ সালে বাক্কো প্রথমবারের মতো “ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেওনার” কর্মশালা আয়োজন করে, যেখানে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) সহযোগিতা করে আসছে। কর্মশালার লক্ষ্য শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া। ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩১৬ জন প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে এই কর্মশালা সম্পন্ন করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়, যার মাধ্যমে কর্মশালার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।