টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ঢাকার বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান নগদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং ২০১৯ সাল থেকে মালিকানা সংক্রান্ত নথিপত্র ও গ্রাহকের ডাটা চেয়ে পাঠান।
জানা গেছে, অভিযানের সময় নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে দুদক কর্মকর্তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। বিশেষ করে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে একাধিক হিসাব খোলার বিষয়টি এবং বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে চান। নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে তাদের প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করা হবে।
অভিযান সম্পর্কে নগদ কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, হাইকোর্ট নগদে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে। গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর নগদ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরের জন্য নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। পাশাপাশি, নগদ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয়জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একইদিন নগদের আগের পরিচালনা পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর আদালত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে।