দেশজুড়ে বিপিও সেক্টরকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ‘বিপিও সামিট -২০২৩’ সম্পন্ন

বিপিও সামিট ২০২৩ এর কেন্দ্রীয় সমাপনী অনুষ্ঠান।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট: এবারই প্রথমবারের মত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩” আয়োজিত হচ্ছে বিভাগীয় পর্যায়েও। গত ২৩ মে রাজশাহী বিভাগে ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় যাত্রা। বিভাগীয় পর্যায়ের বর্ণাঢ্য আয়োজনের অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন, তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকুরি মেলা, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন, স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত পলিসি ডিসকাশন ইতাদি। সাতটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদাভাবে “বিভাগীয় বিপিও সামিট” উদযাপনের পর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে আয়োজিত হয় “কেন্দ্রীয় বিপিও সামিট”।

দুই দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘বিপিও সামিট -২০২৩’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) উদ্যোগে ‘সোর্সিং বিয়ন্ড বর্ডারস’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিপিও একটি উদীয়মান ক্ষেত্র। তাই বিপিও-কে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক বিস্তার ও বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দুই দিনের এই মেলা বড় ভূমিকা রাখবে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সুযোগ দেবে।

এরপর গত রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী পর্ব আয়োজিত হয় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিপিও খাত বড় হলেও এটা সত্যি যে, এই খাতের উপযোগী দক্ষ কর্মী খুব বেশি এখনো আমাদের নেই। আমাদের অনেক ছেলেমেয়েরা ইংরেজি তো ভালো, শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলাও বলতে পারে না। আরও যদি সিলেট বা চট্টগ্রামের কেউ কথা বলে, আমরা অনেকেই বুঝব না। তবে তাই বলে হতাশ হওয়া যাবে না। ছোট শিশুদের যেমন হাত ধরে হাঁটা শিখাতে হয়, তেমনি এদের সহযোগিতা করা হলে তারাও ভালো করবে। আমাদের সবথেকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত মানবসম্পদে। আবার বিপিও খাতে যে প্রযুক্তিতে খুব দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয় সেটাও না। তাই যেটুকু দক্ষতা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে দরকার, সেটা যদি বিপিও খাত এই দেশের তরুণদের দেয় তাহলে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ ৩৩৩, ৯৯৯ অনেক মানুষের আস্থায় পরিণত হয়েছে। এসব কল সেন্টার কিন্তু আমাদের বিপিও খাত থেকেই পরিচালিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় অন্যদের মাঝে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন টেকভিশন২৪ কে বলেন, দেশজুড়ে তরুণ ও সকল মহলের মানুষের মধ্যে বিপিও সেক্টরে সম্ভাবনাময় ইতবাচক দিকগুলো তুলে ধরতেই এবারের ‘বিপিও সামিট -২০২৩’ আয়োজন। আমরা ৭টি বিভাগে অত্যান্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। এবং ব্যাপক সাড়া পেয়ে আমরা অত্যান্ত সন্তুষ্ট। আশা করছি ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়েও আমরা সংগঠনের সকল সদস্যদের ব্যবসা সম্প্রসারন এবং সারাদেশে তরুণদের কর্মসংস্থানের লক্ষে কাজ করে যাবো। 

সামিটে ৯টি সেমিনার আয়োজিত হয় যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও জব ফেয়ার, নেটওয়ার্কিং সেশনের মতো আয়োজন রাখা হয় সম্মেলনে। আয়োজনের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অফলাইন ও অনলাইনে লাখের বেশি দর্শনার্থী অংশ নেয়।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন