টেকভিশন২৪ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধের জেরে হোয়াইট হাউস স্পেসএক্সের সব সরকারি চুক্তি খতিয়ে দেখতে পেন্টাগন ও নাসাকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
হোয়াইট হাউসের নির্দেশে স্পেসএক্সের সঙ্গে থাকা প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি যাচাই করে দেখা হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে নাসার মহাকাশ অভিযান, সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং নতুন ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশগ্রহণ।
এই তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এটি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির প্রতিফলন—যেখানে তিনি বলেছিলেন, “সবকিছুই খতিয়ে দেখা হবে”, যদি মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
কেন এই সংঘাত?
মাস্ক সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন, এমনকি ট্রাম্পকে অভিশংসনের আহ্বানও জানান। যদিও পরে তিনি কিছু মন্তব্য ফিরিয়ে নেন, তবে ট্রাম্প শিবির এতে ক্ষুব্ধ হয় এবং মাস্কের কোম্পানিগুলোর সরকারি সুবিধা ও অর্থায়ন বাতিলের সম্ভাবনা উত্থাপন করে।
ঝুঁকিতে কোন কোন প্রকল্প?
নাসার ৫ বিলিয়ন ডলার চুক্তির অধীনে ড্রাগন স্পেসক্রাফট, যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অ্যাস্ট্রোনট পরিবহণের একমাত্র মার্কিন যান।
স্পেসএক্সের গোপনীয় গোয়েন্দা স্যাটেলাইট প্রকল্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিসের সঙ্গে।
গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্প, যেখানে স্পেসএক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
স্পেসএক্স এ পর্যন্ত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও, নাসা এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রেসিডেন্টের মহাকাশ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
বিশ্লেষকদের মত
ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি সরকারি পর্যবেক্ষণ সংস্থার আইন উপদেষ্টা স্কট অ্যামি বলেন, “এটা একটা ব্যঙ্গাত্মক পরিস্থিতি। মাস্ক নিজে সরকারি চুক্তি খরচ কমাতে কাজ করেছিলেন, আর এখন সেই চুক্তিগুলোই রাজনীতির শিকার হতে পারে।”
এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব স্পেসএক্সের ভবিষ্যৎ সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। তবে এর নিষ্পত্তি এখনও অনিশ্চিত।
সূত্র : রয়টার্স