রেকর্ড ভেঙে বিটকয়েন এবার লাখ ডলারে

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ফের শিরোনামে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন। প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে এর দাম। এবার প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর গত চার সপ্তাহে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ডিসেম্বরে রেকর্ড গড়ল।

১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা এবং এর উত্থানকে ঘিরে বিতর্ক সত্ত্বেও বিটকয়েনকে দমানো যায়নি। অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ক্রমাগত বিটকয়েনের দামবৃদ্ধি এবং স্থিতিস্থাপকতা বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারে এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ইঙ্গিত করে। একইভাবে বোঝায়, ডিজিটাল মুদ্রা খুব দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে না।

প্রতিবেদন বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর থেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার সরগরম। দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি-বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করবেন এবং এই খাতে সরকারী নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনবেন, এই আশায় ক্রিপ্টোর বাজারে লেনদেন যেমন বেড়েছে তেমনি দামও উঠেছে রেকর্ড উচ্চতায়। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে বিটকয়েন, বিটকয়েন সর্বশেষ এক লাখ ২৭ ডলারে লেনদেন হয়েছে।

নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিটকয়েনের দাম পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। এ যেন রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার এক খেলায় মেতেছে বিটকয়েনের বাজার। গত ৬ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের দিনই বিটকয়েনের দাম প্রথমবারের মতো পৌঁছে যায় ৭৫ হাজার ডলারে।

ট্রাম্পের বিজয়ে বিটকয়েনের দামে ঊর্ধ্বগতি তাই বেশ অনুমিতই ছিল। তবে সেটা যে এতটা ওপরে উঠবে সেটা অবশ্য অনেকেই ধারণা করতে পারেননি। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ট্রাম্পের উৎসাহব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি আরেকটি ‘ফ্যাকটর’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বিটকয়েনের দামে সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বগতিতে। আর এই ফ্যাকটরটি হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি জগতের প্রভাবশালী উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। এরই মধ্যে ট্রাম্প সরকারে মাস্ক যে বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন সে বিষয়টিও বেশ পরিষ্কার হয়েছে। ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে নতুন এক ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব পেতে চলেছেন ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্ক নিজেও ক্রিপ্টোকারেন্সির একজন জোড়াল সমর্থক। বাজারে তাঁর নিজের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে বলেও বিভিন্ন সময় গুঞ্জন শোনা গেছে, যদিও তিনি নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে মাস্ক স্বীকার করেছেন যে, ক্রিপ্টোর বাজারে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন