টেকভিশন২৪ ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডির ড্যাফোডিল টাওয়ারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সর্ববৃহৎ আয়োজন এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫। সারা দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী ৭০০ জনের বেশী শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক এবং প্রযুক্তিপ্রেমীর অংশগ্রহণে দিনটি হয়ে উঠে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এক জাতীয় উদ্ভাবনী উৎসব।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলি যেযোগাযযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং ইয়ুথ প্রোগ্রামের ইভেন্টস অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন চিফ কো-অর্ডিনেটর মোঃ মুনির হাসান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।
এই আয়োজনের সার্বিক কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ এর কনভেনর ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস। এর আগে সকাল ৯ টায় এ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধুমাত্র একটি প্রপ্রযুক্তি নয়, বরং জাতি গঠনের একটি হাতিয়ারও বটে। আর এই অলিম্পিয়াড আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেই হাতিয়ার তৈরির পথেই ধাবিত করবে। তিনি বলেন, আইসিটি ডিভিশন নিরলসভাবে এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে এ ধরনের অলিম্পিয়াড আয়োজনে আইসিটি ডিভিশন সরাসরি সহযোগিতা করবে।
ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, প্রযুক্তির সাথে প্রজন্মের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত থাকবে। তিনি নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্বাবনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, “এই অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি ছিল একটি রূপান্তরমূলক প্রক্রিয়া। আমরা কেবল একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করিনি, বরং একটি জাতীয় মঞ্চ তৈরি করেছি, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের তরুণরা নিজ নিজ দক্ষতা ও চিন্তাশক্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। এর মাধ্যমে যে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তিকে প্রয়োগ করার অনুশীলন করেছে। তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি জাতীয় এআই সচেতনতা ও উৎসাহ তৈরি করেছি, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তুলবে।”
দিনব্যাপী তিনটি প্রজ্ঞাবান ওয়ার্কশপে আলোচিত হয় এআই-এর বাস্তব জীবনে প্রয়োগ, নৈতিকতা এবং সম্ভাবনার বিস্তার। অংশগ্রহণকারীরা তিনটি স্তরে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) প্রজেক্ট জমা দেয় এবং চূড়ান্ত বিচারকার্যে অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ও প্রকৌশল বিজ্ঞান, কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষক। অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। অলিম্পিয়াডে সেরাদের সেরা দল নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দল।
টারশিয়ারি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টিম উইসডোমিক, প্রথম রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম টিসার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টিম ওসমান।